বেড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার ওপর মাদক কারবারির হামলা

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২১, ২০:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা

পাবনার বেড়া প্রেসক্লাবের সম্পাদক, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি উজ্জ্বল হোসেন ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের ওপর হামলা-মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে পৌর সদরের বৃশালিকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা বেড়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন- বৃশালিকা গ্রামের মৃত বাবরের ছেলে হেলাল প্রমানিক (৫৫), হুমাউন প্রমানিক হিটু (৫০), হেদায়েদ রাঙ্গা (৪২), মাদক কারবারি মনিরুজামান মনির (৩৮)।

অভিযোগ সূত্রে  জানা গেছে, সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের ঘরের পাশ দিয়ে সামান্য পানি গড়ে পড়ছিল। এতে মাদক কারবারি মনিরুজামান মনি এসে মুক্তিযোদ্ধাকে গালমন্দ করতে থাকে।  তিনি নিষেধ করলে তার ওপর ঝাঁপিয়ে কিল-ঘুষি ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তার চিৎকারে বড় ছেলে বেড়া প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি উজ্জ্বল হোসেন এগিয়ে এসে বাবাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে মনির আরো তিন ভাই ও তাদের তিন বউ ধারালো বটি, ও বাঁশ দিয়ে পিতাপুত্রকে জখম করে। তার আরেক ভাই হেলাল পরিবারসহ হত্যা করার হুমকি দেয়। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দস সামাদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করানো হয়।

এ ঘটনায বেড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদদুল্লাহ আল মামুন ও সিনিয়র সাংবাদিক ওসমান গনি তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন।

বৃশালিখা গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা হেলাল সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে এলাকায় ঝামেলার সৃষ্টি করছে। তার ভাই মনিরুজামান  মনিকে দিয়ে রমরমা মাদকের ব্যবসা করাচ্ছে। মাদকের গডফাদার হয়ে কোটি টাকা মালিক হয়েছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। 

বেড়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর বলেন,  তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।

বেড়া উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক আলী বলেন, যারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মারধর করে- তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ও কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।

বেড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) অরবিন্দ সরকার  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুর আলী বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার সাথে সাথে থানার ওসির সাথে কথা বলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তবে বিষয়টি দুঃখজনক বলে মনে করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৭অক্টোবর/এলএ)