স্কুলছাত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করা মনিরের মৃত্যু

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১৩:০৬ | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১৬:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সুমাইয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী প্রেমিকাকে গলাকেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করা প্রেমিক মনির (১৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মনিরের খালা রোজিনা বেগম ঢাকা টাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। রোজিনা বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়। তার লাশ এখন মর্গে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ বাড়িতে নেওয়া হবে।’ 

এর আগে বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকালে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে সুমাইয়াকে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার শামসুল হক কলেজের সামনের একটি ভবনের নিচতলায় ডেকে নিয়ে মনির তাকে গলাকেটে হত্যা করেন। এরপর মনির নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ওই স্কুলছাত্রীর পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় মনির পড়ে থাকায় বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয়। দিন শেষে টাঙ্গাইলের র‌্যাব সদস্যরা বিষয়টির রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হন। এরপর থেকে মনির হাসপাতালে র‌্যাব হেফাজতে চিকিৎসাধীন ছিল।

অভিযুক্ত প্রেমিক বাস হেলপার মনির উপজেলার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। নিহত সুমাইয়া আক্তার উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। সে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তারা এলেঙ্গা কলেজ মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাতে টাঙ্গাইলের র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেনন, ‘স্কুলছাত্রী সুমাইয়ার সঙ্গে মনিরের দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত দুই মাস আগে সুমাইয়া মনিরকে বাদ দিয়ে অন্য এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি মনির সহ্য করতে পারছিল না। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মনির সুমাইয়াকে মারধর করে। কোচিংয়ে যাওয়ার সময় সুমাইয়াকে একটি ভবনের নিচতলায় ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করে মনির।’

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘নিহত স্কুলছাত্রীর পাশেই মনির আহত অবস্থায় পড়ে ছিল। বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছুরি উদ্ধার করা হয়। আমরা মনিরের দুটি ভিডিও পেয়েছি। ছুরিটি স্পেশাল, ওটি চাপ দিলেই দুই দিক থেকে দুটি ছুরি বের হয়। আমাদের ধারণা ছিল, এই ছুরির মালিকই ঘটনা ঘটিয়েছে। মনিরের আগের ভিডিওতে এই ছুরি দেখা গেছে। হত্যার আগের দিন মনির তার বন্ধুদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসে অস্ত্রের কথা বলেছে। সেখানে বসে মনির ড্রিংকস করেছে।’

(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/জেবি)