‘সাংস্কৃতিক জাগরণই পারে জঙ্গিবাদ রুখতে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর ২০২১, ২১:৫৫

স্বাধীনতার স্বপক্ষের সংগঠন গৌরব’৭১-এর আয়োজনে ‘সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আমাদের করণীয়’শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় ‘সাংস্কৃতিক জাগরণই পারে জঙ্গিবাদ রুখতে’ এমন মন্তব্য করেছেন বক্তারা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সিরডাপ অডিটোরিয়ামে এ গোলটেবিল আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গৌরব’৭১ সভাপতি এসএম মনিরুল ইসলাম মনি। সঞ্চালনা করেন গৌরব`৭১ সাধারণ সম্পাদক এফএম শাহীন।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য ছিল , হাজার বছরের একটি অতীত আছে। গ্রাম- বাংলায় পল্লীগীতি, জারি-শারি, ভাটিয়ালি গান ছিল। কিন্তু বর্তমানে এসবের জায়গা দখল করে নিয়েছে ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল। এসব ধর্মীয় নেতাদের অধিকাংশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বিশেষ একটি মহলের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকে।

ধর্মীয় নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওয়াজ মাহফিলে শ্রোতাদের আকৃষ্ট করার জন্য তারা নারীদের নিয়ে বিভিন্ন রকম সুড়সুড়িমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকে। সমাজের এবং মানুষের মেধা-মননের উন্নয়ন তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করা। এরাই আমাদের সমাজের মানুষের মধ্যে ধর্মান্ধতার বেড়াজালে আবদ্ধ করে রেখেছে। ধর্ম পালন নয়, উস্কানি দিয়ে ধর্মান্ধ একটি জাতি তৈরি করাই এদের মূল লক্ষ্য। মানুষের আবেগকে পুজি করে তারা রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি করতে চায়। সরকারের এসব ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি আছে।

ভারতীয় উপমহাদেশের সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির ইতিহাস তুলে ধরে এই নেতা বলেন, এই উপমহাদেশে যেমন হাজার বছরের হিন্দু-মুসলিমের সম্প্রীতির ইতিহাস আছে , তেমনি ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক সংঘাতেরও নজির আছে। অতীত থেকেই এসব ঘটনার পরেই সাম্প্রদায়িক শক্তি মূল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা করে আসছে। ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধর্মান্ধ করার অপচেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এসব অপচেষ্টা রুখে দিতেই শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষার প্রসারের দিকে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে। কারণ কেবল শিক্ষার আলোই পারে মানুষের মন থেকে কুসংস্কার , ধর্মীয় গোঁড়ামি ও সাম্প্রাদায়িক মনোভাব দূর করতে।

তিনি আরো বলেন , আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ধর্মীয় শিক্ষাকে এসব সাম্প্রদায়িক ঘটনার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন। তবে ইতিহাস কিন্তু তা বলে না। আমাদের দেশ তথা উপমহাদেশের এধরনের যত ইস্যু আছে , সবকিছুর মূলেই রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। এমনকি ৭১ সালের পরাজিত পাক বাহিনীও বাঙালির স্বাধীনতা হরণ করতে শেষ অস্ত্র হিসেবে ধর্মকেই ব্যবহার করেছিল। সেই সাম্প্রদায়িকতার শিকার হয়েছে ৩০ লক্ষ তাজা প্রাণ , দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত সম্ভ্রম। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সেই সাম্প্রদায়িকতা মোকাবেলা করেই আমরা স্বাধীন হয়েছি। জাতির পিতা আমাদের সেই চার মূলনীতি- গণতন্ত্র , সমাজতন্ত্র , বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্ম নিরপেক্ষতার উপর ভিত্তি করেই স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের পথে হাঁটছিলেন। ৭০ এর নির্বাচন , মুক্তিযুদ্ধ সবকিছুই হয়েছিল এই চার মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু ৭৫ এ সেই পরাজিত শক্তির হাতেই থেমে যায় বাঙলির সেই আগ্রযাত্রা।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, কুমিল্লার মন্দির হামলার দিনই আমি জানতাম এ কাজটি কোনো হিন্দু করেনি। কারণ বাস্তবের সাথে এটি মেলে না। তিন দিন পরে জানলাম, ইকবাল নামে একজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যাকে এখন পাগল সাজানোর চেষ্টা হচ্ছে। সম্প্রতি জানলাম, তাকে এ ঘটনা ঘটাবার জন্য যুক্তরাজ্য থেকে খুনি তারেক জিয়া নির্দেশ দিয়েছে। খুনি জিয়ার পুত্র তারেক জিয়া। খুন তাদের রক্তের মধ্যে প্রবাহিত। দেশে ধর্মের নামে হাহাকার তৈরি করে এবং সেই সুযোগে তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানকে বানাতে চায়।

তিনি বলেন, যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলে দাবি করছে তারা সারারাত মদ পান করে। তারা কেউ ধর্মের ধারে কাছেও ছিল না। এরশাদ, খুনি জিয়া ধর্মকে ব্যবহার করেছে। এরা একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি। তারা কেউ কোনোদিন স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি। আজও চায় না। এখনও তাদের স্বপ্ন বাংলাদেশকে পাকিস্তানি রাষ্ট্র পরিণত করা। এই ব্যাপারে পাকিস্তান দূতাবাসও এক পায়ে খাড়া। প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে পাকিস্তানের বেহায়া রাষ্ট্রদূত সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বলেছে। অথচ তারা একাত্তরের জন্য এখনো মাফ চায়নি, রাজাকার ফিরিয়ে দেয়নি- ইমরান খানের লজ্জা হওয়া উচিত। এসময় তাদেরকে কঠোর নজরদারিতে রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ১৯৬৪ সালে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে শেখ মুজিব হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি সংখ্যালঘুদের বিপদে সবসময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেসময়ে তিনি সারা ঢাকা শহর থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ৩২ নম্বরে নিয়ে গেছেন। শেখ ফজিলাতুন্নেছা দিনের পর দিন রান্না করে তাদের খাইয়েছেন। নিরাপদ স্থানে রেখেছেন। সেই সাহস আওয়ামী লীগের কর্মীদের আছে কি-না? সে নৈতিক বল আওয়ামী লীগ পরিবারের আছে কি-না। এখন মানুষ সৎ না হয়ে স্বচ্ছল হচ্ছে। মানুষ আজ জ্ঞানী না হয়ে চালাক, ধূর্ত হচ্ছে। আজ মানুষ মানুষের পাশে না দাঁড়ায় না। ধর্ম রাষ্ট্রের সাথে যুক্ত হলে সাম্প্রদায়িক পরিবেশ তৈরি হয়।

বিদায় হজে মহানবী (সা.) বলেছেন, তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি মদিনা সনদ ঘোষণা করেছেন, তার কাছে অন্য ধর্মের লোকজন বিচারের জন্য আসলো। তিনি তাদের বললেন ,তোমরা তোমাদের ধর্মীয় আইনে বিচারক করতে পারো। এর মাধ্যমে তিনি মদিনায় ধর্ম নিরপেক্ষ শাসন প্রতিষ্টা করেছেন। আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় এসে ডিক্রি জারি করে এক রাতে সব নারীকে চাকরিচ্যুত করেছে। খেলোয়াড়কে হত্যা করা হয়েছে। আমরা কি সেই দেশ চাই না কি বঙ্গবন্ধুর দেশ চাই। তাদের অনুসারীরা যদি বাংলাদেশে ক্ষমতা দখল করে, তাহলে এখানে কি হবে? মানব সন্তানের পক্ষে দাঁড়ানো আমাদের কাজ। আমরা একেসাথে থাকব। আওয়ামী নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়া দরকার।

সাবেক আইজিপি শহীদুল হক বলেন, দেশে আইন আছে। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এলে বিচার চাইতে পারেন। সংখ্যালঘুদের মন্দিরে আঘাত করে তো তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হলো। রামুর ঘটনায় ১৯টি মামলার চার্জশিট হয়েছে, কিন্তু একটিরও বিচার শেষ হয়নি। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পেছনে বৃহৎ রাজনৈতিক দল আছে আর নাহলে তারা এসব করতে পারত না।আর এজন্য অপরাজনীতি দায়ী।

তিনি বলেন, কোনো বড় গোষ্ঠীর সহায়তা না পেলে জঙ্গিরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যতগুলো সিরিজ বোমা হামলা, জঙ্গি কার্যক্রম গড়ে উঠেছে তৎকালীন সরকারের ছত্রছায়ায়। আমি ৬০টি অভিযান পরিচালনা করেছি। সরকারের সদিচ্ছা ছিল, সরকার এদের পৃষ্ঠপোষকতা করেনি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। জঙ্গিবাদ রুখতে হলে ব্যাপক জনগোষ্ঠেীকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং যারা পলিটিক্যালি মোটিভেটড তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

আওয়ামী লীগ প্রত্যেকটা সেক্টরে কম্প্রোমাইজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের এসপি থাকার সময় সাকা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করলাম।যুদ্ধাপরাধীদের যখন গ্রেপ্তার শুরু করলাম, তখন এক শ্রেণি বলা শুরু করল আমি অতি উৎসাহী। তখন তাদের গ্রেপ্তার না করলে তারা পালিয়ে যেত। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত কর্মীরা ঢাকায় ঢুকতে চাইল। আমি বলেছি, তাদের ঢুকতে দেয়া যাবে না। বিএনপি, জামায়াত-শিবির জড়ো হচ্ছে। কিন্তু উচ্চ পর্যায় থেকে বলা হলো ঢুকতে দেয়ার জন্য।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি কাজল দেবনাথ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ স্বপ্নের বাংলাদেশ। আজ আমি এখানে হিন্দু পরিচয়ে, এটি আমার জীবনের কলঙ্ক। ছাত্রজীবনের কাজল দেবনাথ, পাকিস্তান আমলের কাজল দেবনাথ স্বাধীনতার পর হয়ে গেলাম হিন্দু কাজল। সংবিধানও আমাকে আলাদা করে দিয়েছে। আজ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বিশ্বের বুকে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের নামে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়। সব জায়গার চিত্রনাট্য এক। কুশীলবদের অভিনয়ও কাঁচা। ২০১২ সালে রামুতে, ২০১৪ সালে কুমিল্লার হোমনা, ২০১৬ রংপুরে, এরপর নাসিরনগরে, ভোলা, সুনামগঞ্জের শাল্লা, প্রত্যেক জায়গায় একই চিত্রনাট্য। আমরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছি। কিন্তু একটিতেও প্রমাণ হয়নি আমরা করিছি। প্রশাসনের কাজ এসব ঘটনা প্রতিহত করা। কিন্তু কুমিল্লার ঘটনায় প্রশাসন নায়কের ভূমিকায় থাকলেন। বঙ্গবন্ধুকে আত্মায় নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নীতিকে চর্চায় নিতে হবে, তবেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, বাঙালিরা শত বছর ধরে একসাথে বসবাস করছে। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অসাম্প্রদায়িক। আমি বাঙালির উদারতায় প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি। আজ দেশে বাঙালিত্বকে ধর্মীয় পরিচয়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ধর্ম মানবিক এবং অন্য ধর্মের সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ধর্ম নিরপেক্ষতা মানেই ধর্মহীনতা নয়। এই বিষয়টি মানুষকে বুঝাতে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। বিশেষ করে রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা এটা বুঝিয়ে বলতে পারিনি। রাজনৈতিক দলগুলোও ব্যর্থ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নের পথে হাঁটছি। সোনার বাংলা কেউ ঠেকাতে পারবে না। বাংলাদেশে আজ যুদ্ধাপরাদের বিচারের মতো অসম্ভব কাজ সম্ভব হয়েছে। আজ অনেক বিষয়ে কম্প্রোমাইজ করা হয়। আদর্শিক আপস করে করে আজ আমরা পিছিয়ে পড়ছি। আশঙ্কা করছি, এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনে ৩০ লাখের জায়গায় তিন কোটি মানুষের রক্ত দিয়ে দেশকে কলুষিত মুক্ত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে যারা ভোট দেয়নি, তারা কখনো আপনাদের ভোট দেবে না। আজ রাজাকারের নাতি, যুদ্ধাপরাধীরা নৌকায় মনোনয়ন পায়। শহীদের সন্তান হিসেবে এসব ঘটনা আমাদের লজ্জিত করে।

তিনি আরো বলেন, আজ দেশে যাত্রা হারিয়ে গেছে। দেশে সুস্থ যাত্রা নিয়ে আসেন, সংস্কৃতি চর্চা বাড়ান। আমরা আজহারীর ওয়াজ কেন শুনব? সে আমাদের ভ্রান্ত ইসলাম শেখাচ্ছে। ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ হচ্ছে। কট্টরপন্থীরা মানুষকে কুপিয়ে মেরে ইসলামকে বদনাম করছে। কিন্তু আমরা কেন প্রতিবাদ করছি না? আমরা সংবিধান, বঙ্গবন্ধুর নীতি বুঝি না। শুধু স্লোগান দিয়ে হবে না। পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমরা রক্ত দিয়ে প্রমাণ করেছি, আমরা আপনাদের সাথে আছি, আপনারা এগিয়ে যান। সাহস, সংস্কৃতি ও শিক্ষা আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ।

আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, বাংলাদেশে গত ১৩ বছর ধরে আদর্শিক রাজনীতি চর্চার অভাব অনেক বেশি কাজ করছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি যারা বারবার ইঁদুরে মতো গতে ঢুকে যায়, তারা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগে মানুষ ঢুকিয়ে দিয়েছে। কাউয়া-হাইব্রিডে দল ভরে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা দেশে আবারো ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের সাম্প্রদায়িকতার অসুখ অনেক আগ থেকেই। অসুখটা অনেক গভীর। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসে মানুষের মনে ধর্মীয় আবেগ সেটে দিয়েছে। এর থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে। প্রকৃত ধর্ম অনুসারীরা কাউকে আঘাত করতে পারে না। সাম্প্রদায়িক হামলা রাজনৈতিক এবং ধর্মীয়ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। আওয়ামী লীগ অনুসারীদের অনেকে আজ আজহারীর ওয়াজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। আজহারী সাঈদীর চেয়ে আরো ভয়ঙ্কর। সহজভাবে সাধারণ মানুষকে উসকে দিচ্ছে। এগুলো চিহ্নিত করতে না পারলে সামনে খারাপ সময় আসছে।

এসময় আলোচনায় আরো অংশ নেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন চৌধুরী, আওয়ামী যুব মহিলালীগের সহসভাপতি কুহেলী কুদ্দুস মুক্তি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বফিকুল ইসলাম বাধন,নাজমুল হক সিদ্দিকী প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

বাংলাদেশে একদিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবেই, তখন আ. লীগ থাকবে না: আমিনুল হক

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল আ.লীগে বাড়ছে দ্বন্দ্ব

সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে: এবি পার্টি

বদরের চেতনায় লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান ছাত্রশিবির সভাপতির

আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের

বিএনপির ভারত বিরোধিতা মানুষের কষ্ট বাড়ানোর নতুন সংস্করণ: নাছিম

ভোট ডাকাত সরকারকে সমর্থনকারী দেশের পণ্য বর্জন ন্যায়সঙ্গত: রিজভী

১১ মামলায় আগাম জামিন পেলেন বিএনপি নেতা বকুল

বর্তমান সরকার ভারতের অনুগ্রহে ক্ষমতায় বসে আছে: সাকি

জিয়াউর রহমান উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে: ওবায়দুল কাদের

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :