বিদেশিদের আপত্তি আমরা গ্রাহ্য করি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ০১:৪৯

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আপত্তিকে বাংলাদেশ পাত্তা দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বিদেশিরা অনেক কিছু নিয়েই আপত্তি করে থাকে। তবে তাদের আপত্তি আমরা গ্রাহ্য করি না। আমাদের মঙ্গলের জন্য যা দরকার করব।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ইইউ’র আপত্তি বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কে কী আপত্তি করল না করল, তাতে আমাদের কী? তারা আপত্তি করলে আমরা তাদের বোঝাব, আমরা আমাদের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে এটা করেছি। অনেক লোকে অনেক আপত্তি করে। আপত্তি ওরা করুক, তারা অনেক সময় বকবক করবে। কিন্তু আমরা আমাদের মঙ্গলের জন্য যা দরকার করব।’

এসময় বিদেশিদের আপত্তির উদাহরণ টেনে পদ্মা সেতু ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ভর্তুকির বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভর্তুকির সিদ্ধান্ত নিলে বিদেশিরা অনেক আপত্তি করেছে। আমাদের বড় বড় বন্ধু রাষ্ট্রসহ বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ বলেছিল, আপনারা পারবেন না। এক বছর আইএমএফ আমাদের এফডিআই তুলতে দেয়নি। কিন্তু দেখুন, এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পদ্মা সেতুর কথা বলি, বিশ্ব ব্যাংক আমাদের ওপর ক্ষেপে গেল। কত রকম ঢংঢাং বের করল। পয়সা দেওয়ার আগেই বলে এখানে চুরির মহড়া চলছে। প্রধানমন্ত্রী তা অগ্রাহ্য করে ফল তাদের দেখিয়ে দিয়েছেন।’

গত মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইইউ বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওই দিন ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইইউ চতুর্থ কূটনৈতিক পরামর্শ সভা শেষে ইইউ বিবৃতিতে জানায়, এ আইনের কিছু বিধানে ডিজিটাল অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিবৃত উদ্দেশ্যের বাইরে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ইইউ’র বিবৃতি প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা হুঁশিয়ারি দেয়। তারা যে আমার কাছ থেকে কাপড় নেয়, সেটা কিন্তু দয়া বা বাধ্য হয়ে নয়; সস্তা দরে নেয়। বিশ্ব ব্যাংক যে আমাদের টাকা দেয়, এর অর্থ এই নয় যে তারা আমাদের দয়া করেছে। তারা টাকা দেয়, কারণ টাকা না দিলে তাদের চাকরি চলে যাবে।

এ সময় ড. মোমেন দেশের গণমাধ্যমগুলো বিদেশিদের কথায় বেশি হইচই করে বলেও মন্তব্য করেন।

সরকারকে বিব্রত করতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মৃত্যু ও ধর্ষণের গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

ড. মোমেন বলেন, ‘সাম্প্রতিক ধর্মীয় সহিংসতায় এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন মুসলমান। তারা হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের চেষ্টার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। হিন্দু সম্প্রদায়ের দুজন মারা গেছেন। এদের একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এবং অন্যজন পানিতে ডুবে মারা যান।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরগুলো পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সবাই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/২৯ অক্টোবর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :