ফেসবুকে নয়, ঢাবি প্রশাসনের কাছে সমস্যা জানানোর আহ্বান

রাফিউজ্জামান লাবীব, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২১, ২০:০৮ | প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর ২০২১, ২০:০৫
প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী (ফাইল ছবি)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন, সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট না করে সরাসরি প্রক্টর অফিস কিংবা সংশ্লিষ্ট বিভাগে গিয়ে বলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা শোনা ও সমাধান করাই প্রক্টর অফিস বা বিভাগগুলোর দায়িত্ব ও কর্তব্য বলেও জানান তিনি।

শনিবার ঢাকাটাইমসের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় শিক্ষার্থীদের প্রতি এই আহ্বান জানান প্রক্টর।

ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ বা সমস্যার কথা বিভিন্ন গণমাধ্যম, সংবাদকর্মী বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে বা অন্য কোনোভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানতে হয়। এটাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের সম্পর্ক ধীর ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কেননা, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার একটি বড় পরিবার। তারা যেসব সমস্যায় ভোগে সেগুলো আমরা তাদের কাছ থেকে সরাসরি খুবই কম শুনতে পাই বা জানতে পারি। তারা আমাদের কাছে সরাসরি কোনো সমস্যার কথা বলে না। বললেও সেটা হাতে গোনা কয়েকটা। তাদের জন্য আমার প্রক্টর অফিসের দরজা সবসময় খোলা। তারা আসুক, সমস্যাগুলো বলুক, আমরা অবশ্যই সমস্যাগুলো সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে কিছু শেয়ার করা খারাপ না। তবে তার আগে আমাদের জানালে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নিতে আমাদের সুবিধা হয়। ইদানীং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শিক্ষার্থীদের এধরনের কার্যকলাপ খুব বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। এ যায়গা থেকে বেরিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

একজন শিক্ষার্থীর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কী কী সুবিধা রেখেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই সেটা জানেন না বা জানতে আগ্রহীও হন না। এক্ষেত্রে প্রশাসনেরও কিছুটা দায় রয়েছে। প্রশাসনের দায় স্বীকার করে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি মানবিক ক্যাম্পাস। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সুবিধা রাখা আছে। কিন্তু, শিক্ষার্থীরা সেসব যায়গা থেকে তার জন্য নির্ধারিত সুবিধাটুকু নিতে পারছে না। কেননা, সে জানেই না বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে কোন কোন সুবিধাগুলো দিচ্ছে। তবে শুধু শিক্ষার্থীদের দোষ দিলে হবে না শিক্ষার্থীদের না জানার কারণ প্রশাসনের ওপরেও বর্তায়। কেননা, প্রশাসন সেরকমভাবে প্রচারণা চালায় না।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আদনান সাকিবের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, হতাশার কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। আমরা এটা বিশ্বাস করি যে আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে আমাদের অনেক শিক্ষার্থীই হতাশায় ভুগছে। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় তো এটা নিয়েও কাজ করে। টিএসসিতে ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তর নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে আমাদের। অনেক শিক্ষার্থী হয়তো সেটা জানেও না। টিএসসি বাদে প্রতিটি বিভাগে স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজার আছে। ক্লাসে সিআর (ক্লাস ক্যাপ্টেইন) আছে। তাদের মাধ্যমে অনেক সমস্যা সমাধান করা যায়। কিন্তু, আমরা দেখি কেবল কাগজ সত্যায়িত করার সময়েই শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজারের কাছে আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে এত সুবিধা থাকার পরেও যদি কেউ সুবিধাগুলো না নিয়ে হতাশ হয়ে আত্মহননের মুখে নিজেকে ঠেলে দেয়, তবে সেটা নিজের ব্যর্থতা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাই নিজ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব তথ্য জানার জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

(ঢাকাটাইমস/২৯ অক্টোবর/আরএল/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :