চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে এবার নওফেল অনুসারির মামলা
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চকবাজার থানায় চমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমন সিকদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার বাদী ইমন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারি হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন— আহসানুল কবির রুমন, জাহিদুল ইসলাম জিসান, ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, মো. আনিস, নাইমুল ইসলাম, মো. ইফরাইন, এইচ আর মাহফুজুর রহমান, সাদ মোহাম্মদ গালিব, মাহতাব উদ্দিন রাফি, আসেফ বিন তাকি রিফাত, তৌহিদুল হাসান তন্ময়, আহমেদ ফয়সাল, পল্লব বিশ্বাস, মাহাদি বিন হাশিম, আল আমিন ইসলাম শিমুল ও মিনহাজ আরমান লিখন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে গত ২৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে উল্লেখিত ব্যক্তিরা দা, ছোরা, ক্রিকেট স্টাম্প, হকিস্টিক, কিরিচ ও লোহার রোড ও হাতুড়ি নিয়ে রুমে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস জাহান বলেন, চমেকের ঘটনায় চমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমন সিকদার বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর একই ঘটনায় নগরের পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান। পরে রবিবার রাতে চকবাজার থানায় মাহমুদুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থী ১৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় এবং শনিবার সকাল ৯টায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সন্ধ্যার মধ্যে হোস্টেল ছেড়ে যেতে শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ অনুযায়ী সন্ধ্যায় আবাসিক হোস্টেল ছেড়ে যান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
(ঢাকাটাইমস/৩নভেম্বর/কেএম)