রাজধানীতে নতুন মাদক-২

যেভাবে ছড়াচ্ছে ভয়ানক মাদক আইস

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১০:০৯

সিরাজুম সালেকীন

দেশে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে ভয়ানক মাদক আইস। সেটা পরিমাণে সামান্য- মাত্র পাঁচ গ্রাম। আর সম্প্রতি একটি চালানেই ধরা পড়ে ৫ হাজার গ্রাম বা পাঁচ কেজি আইস। তাতে বোঝা যাচ্ছে রাজধানী তথা দেশের ভেতরে প্রতি গ্রাম ২০-২৫ হাজার টাকা দামের আইসের বাজার বাড়ছে দ্রুত। এমনও জানা যাচ্ছে, বেশি দাম ও চাহিদার কারণে এখন আইসের সঙ্গে ভেজাল হিসেবে মেশানো হচ্ছে ফিটকিরি। এমনিতেই মানবদেহের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর আইস এতে হয়ে হয়ে উঠছে আরও বেশি বিপজ্জনক।

আইসের কোনো নির্দিষ্ট স্বাদ-বর্ণ-আকার না থাকায় তা শনাক্ত করাও কঠিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য। আর তাদের ফাঁকি দিতে আইস কারবারিরা বিশেষ করে মিয়ানমার ও কক্সবাজারে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করেন মিয়ানমারের সিমকার্ড। দেশটির মোবাইল নেটওয়ার্ক কক্সবাজার শহরের কলাতলী বিচ পর্যন্ত কাজ করে। ফলে ভয়ানক মাদক আইস আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত পা দেয় এবং নানা পথে পৌঁছে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ও ঢাকায়।

দেশেই আইস তৈরি ল্যাব

বাংলাদেশে নতুন মাদক আ্ইসের প্রথম পাঁচ গ্রামের চালানটি ধরা পড়ে দেশেই গড়ে তোলা একিট ল্যাবে। মালয়েশিয়া থেকে পড়াশোনা করে আসা কেমিস্ট হাসিব বিন মোয়াম্মার রশিদ ও নাইজেরিয়ান নাগরিক আজাহ অ্যানাওচুকওয়া ওনিয়ানুসি ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে আইস তৈরি করছিলেন। ধানমন্ডির ঝিগাতলার ৭/এ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বরের নিজ বাড়ির বেজমেন্টে হাসিব আইস তৈরির ল্যাব বসান। শুধু ভার্চুয়াল জগতে নয়, অন্যান্য মাদক চোরাকারবারির সঙ্গেও যোগাযোগ করে আইস বিক্রির বাজার তৈরি করছিলেন এ দুজন।

বড় বড় চালান ধরা

আইসের সবচেয়ে বড় পাঁচ কেজির চালান ধরা পড়ে গত ১৬ অক্টোবর যাত্রাবাড়ীতে। এ সময় হোছেন ওরফে খোকন ও সহযোগী মোহাম্মদ রফিককে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। দেশে ভয়ংকর মাদকের প্রভাব ঠেকাতে পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বেশ কয়েকটি অভিযান চালায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, চলতি বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই মাদকের ১৭টি চালান ধরা পড়ে, যার পরিমাণ প্রায় ১৯ কেজি।

গত বছরের ৪ নভেম্বর রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থেকে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ৬০০ গ্রাম আইসসহ গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ১৮ আগস্ট যাত্রাবাড়ী ডিবি পুলিশ প্রায় ৫০০ গ্রাম আইসসহ আরেক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে। এসব মাদক মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসে।

সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রায় দুই কেজি আইসসহ টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন থেকে আব্দুল্লাহ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। গত জুন-জুলাই মাসে মতিঝিল, খিলগাঁও, ভাটারা, রামপুরা ও শাহজাহানপুর থেকে এলএসডি ও আইসসহ বেশ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে আটক করা হয়। এ ছাড়া এলিট ফোর্স র‌্যাবের অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১১ কেজি আইস উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

মাছ ধরার ট্রলারে আসছে আইস

এখনো ফেনসিডিল আসে ভারত থেকে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবার মতো আইস আসছে মিয়ানমার থেকে। টেকনাফ সীমান্তপথে দেশে ঢোকার পর এই মাদক মজুত করা হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।

একাধিক গোয়েন্দা সূত্র ঢাকা টাইমসকে জানায়, নাফ নদী ও টেকনাফের সমুদ্রসীমানার দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত দিয়ে মাছ ধরার ট্রলারে আসছে আইস। এদেশে থাকা কারবারিরা প্রথমে মিয়ানমারের মাদক কারবারিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে। এ ক্ষেত্রে দুই পক্ষই মিয়ানমারের সিম ব্যবহার করে। দেশটির মোবাইল নেটওয়ার্ক কক্সবাজার শহরের কলাতলী বিচ পর্যন্ত কাজ করে বলে জানান গোয়েন্দারা। এতে দেশে আসা মাদকের চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে ধরা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে মাছ ধরার নৌকা যখন গভীর সমুদ্রে চলে যায়, তখন সুযোগ বুঝে রাত তিনটা থেকে ভোর পাঁচটার মধ্যে কারবারিরা লাইট সিগন্যাল ব্যবহার করে। আর সেটা মোবাইলের মাধ্যমে হয়ে থাকে। যেমন- এ দেশের নৌকায় থাকা কারবারিকে ওপার থেকে বলা হয় লাইট দিয়ে নির্ধারিত সিগন্যাল দিতে। নির্ধারিত সিগন্যাল পেলে কারবারিরা নিশ্চিত হয়, মাদকের চালান এই নৌকাতেই সরবরাহ করতে হবে। সুযোগ বুঝে পরে চালানটি এদেশের জেলেদের নৌকায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বেশির ভাগ সময় মাদকের চালান নৌকায় নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে থাকে জেলেরা। পরে সুযোগ বুঝে ঘাটে ফিরে আসে।

সূত্রটি বলছে, চালান ঘাটে আসামাত্র তা কয়েক হাতে চলে যায়। পরে সেগুলো কারবারিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে অন্য মাদকের মতো আইসের এখনো কেরিয়ার বা বাহক তেমন গড়ে ওঠেনি। তাই চালান পৌঁছে দেওয়ার কাজে কারবারি সরাসরি জড়িত।

মিয়ানমার থেকে প্রতি কেজি আইস কেনা হয় এক থেকে দেড় লাখ টাকায়। কক্সবাজারে এসে তার দাম হয়ে যায় ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। এই কারবারিরা এক কেজি আইস চট্টগ্রামে পৌঁছে দিতে ১৫ লাখ এবং ঢাকায় পৌঁছে দিতে ৫০ লাখ নিয়ে থাকে। ঢাকায় খুচরা প্রতি ১০ গ্রাম এক লাখ টাকায় বিক্রি হয়, যা কেজিতে দাঁড়ায় এক কোটি টাকা।

আইস শনাক্ত করা কঠিন

গন্ধ এবং নির্দিষ্ট কোনো আকার না থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য আইসের চালান ধরা অনেক কঠিন। তারা বলছে, ইয়াবা বা গাঁজার একটা গন্ধ আছে। কিন্তু আইস লবণ, চিনি বা মিছরির মতো দেখতে। তাই এটা শনাক্ত করা অনেক কঠিন। অনেক সময় এসব চালান এমন স্বাভাবিকভাবে আনা হচ্ছিল যা তারা ভাবতেও পারেনি। যেমন, সম্প্রতি র‌্যাবের অভিযানে দেশের সবচেয়ে বড় চালান ধরা পড়ে। চক্রটির মূলহোতা খোকন হোসেন ও মোহাম্মদ রফিক বার্মিজ আচার ও কাপড়ের মধ্যে করে আইসের চালান ঢাকায় আনেন।

সস্তায় বাজার ধরার চেষ্টা

একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত এই মাদকের বাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক। ইয়াবার তুলনায় চাহিদা কম বলে মিয়ানমারের কারবারিরা অল্প দামে ছাড়ছেন এই মাদক। আগে আইস থাইল্যান্ড বা অন্যান্য দেশ থেকে মিয়ানমার হয়ে দেশে আসত। এখন মিয়ানমারে আইস তৈরি করা হয়। আর এদেশের অনেকের রয়েছে মিয়ানমারের মাদক কারবারিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক। বার্মিজ আচার ও কাপড় আনার নাম করে তারা অবৈধভাবে নিয়মিত মিয়ানমারে যাতায়াত করেন। তারাই মাছ ধরার নৌকা বা বিভিন্ন উপায়ে আইস আনছেন দেশে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক আইস ব্যবসা

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অনেকে জড়াচ্ছে আইস ভ্যবসায়। তারা বিভিন্ন উপায়ে দেশে আইসের চালান আনছে। এই চক্রে প্রায় ছয়জন প্রধান হোতা রয়েছে। পাশাপাশি কক্সবাজারের স্থানীয় তিনজন তাদের সঙ্গে কাজ করছে। এর মধ্যে খোকন নামে একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। খোকনের ধরা পড়ার পরে বাকিরা গা ঢাকা দেয়।

ধরা পড়লে টাকা মাফ

আইস কারবারিরা নিজেদের মেধ্য একটা নিয়ম চালু করেছেন। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কোনো আইসের চালান ধরা পড়লে সেই অর্থ আর তাকে পরিশোধ করতে হয় না। আইস কারবারিরা মাদকের টাকার লেনদেন করেন হুন্ডির মাধ্যমে।

ভেজাল আইস ছড়াচ্ছে বাজার

দেশের অভ্যন্তরে আইসের চালান প্রবেশের পর বেশির ভাগ সময় ভেজাল মেশানো হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। কারবারিরা ‘ফিটকেরি’ বা এই জাতীয় সাদা পদার্থ মিশিয়ে ওজন বাড়াচ্ছে। সূত্রটি বলছে, দেশের কয়েকজন কেমিস্ট ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে নকল আইস তৈরি করেন। তবে সেগুলো বাইরে (মিয়ানমার) থেকে আনা আইসের মতো না। বাইরে থেকে আসা আইসে ‘ফিটকিরি’ জাতীয় পদার্থ মিশিয়ে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। এতে সেবনকারীরা আরও ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। আর কারবারিরা দ্বিগুণ লাভ করছে।

রাজধানীতে যারা কারবারি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ডিএনসি ও র‌্যাবের গোয়েন্দা বলছে, টেকনাফ থেকে আইস এনে তা গোপন চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে উচ্চবিত্তদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। একই চক্র ইয়াবা, আইসসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রির পাশাপাশি এস্কট বা অন্যান্য অনৈতিক কারবারও চালাচ্ছে। তারা নতুন মাদকের ফাঁদে ফেলে তরুণীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করছে।

আইস কারবারচক্রের অন্যতম তিন কুশীলব হলেন থাইল্যান্ড থেকে আসা জবির খান, হোটেলকেন্দ্রিক শাকিল ও বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ইডেন। কিছু ফ্ল্যাটে কথিত পার্টির নামে তারা অনৈতিক কার্যকলাপের পাশাপাশি প্রতারণাও করছেন। তাদের চক্রের বেশ কয়েকজন তরুণীর নামও পাওয়া গেছে। সম্প্রতি অভিযান জোরদার হওয়ায় তারা গা ঢাকা দিয়ে চলছেন। তবে আইসের কারবারিদের ধরতে নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন গোয়েন্দারা।

হাউস পার্টির নামে অবৈধ কাজে আইস কারবারের সঙ্গে জড়িত জবির এর আগে থাইল্যান্ডে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি দেশে নতুন এই মাদকের পরিচিতি তৈরিতে তৎপর। গুলশান-বনানী এলাকায় এস্কট সার্ভিসের নামে ইয়াবা ও আইসের কারবার করেন তিনি।

হোটেলকেন্দ্রিক মডেল সরবরাহের সঙ্গে প্রতারণায় জড়িত শাকিলও আইসের বড় ক্রেতা। তিনি মাদকাসক্ত অনেক তরুণ-তরুণীর কাছে আইস খুচরা বিক্রি করেন। ইডেন নামে উচ্চবিত্ত পরিবারের আরেক যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের আইস সরবরাহ করেন। এ ছাড়া গুলশান-বনানীকেন্দ্রিক আইসের বাজারে জাবের নামে একজন বেশ সক্রিয়।

ভিন্ন আরেকটি সিন্ডিকেটে ২০ জন রয়েছেন, যারা আইস সেবনের পাশাপাশি বিক্রি করছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জান্নাতুল, বিশাল, সানি, সামিয়া আজাদ, নিশা, জুবায়ের, মেহনাজ, মির্জা, লগ্ন, বিকি, আসিফ, রাজ, হাসান, ইজাজুল, জমিল, নাতাশা, তাহমিদ ও আকিকুল।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘অন্যান্য অভিযানের পাশাপাশি র‌্যাব মাদকের বিরুদ্ধেও জোরালো অভিযান পরিচালনা করছে। বর্তমান সময়ে আলোচিত ভয়ংকর মাদক আইসের বিরুদ্ধে র‍্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। আইস সেবনে শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।’

কমান্ডার মঈন বলেন, ‘এ বছরের ১৬ অক্টোবর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে আইসের সবচেয়ে বড় (পাঁচ কেজি) চালানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারে র‍্যাব অনেক তথ্য পেয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। এর মধ্যে- আইস কারবারির সঙ্গে জড়িত টেকনাফে ও ঢাকায় অনেকের নাম পাওয়া গেছে। তারা রাজধানীর গুলশান, বনানী, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর কেন্দ্রিক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এসব জায়গায় আইস পৌঁছে দেওয়ার জন্যই কক্সবাজার থেকে চালান নিয়ে আসা হয় ঢাকায়।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) উপপরিচালক (উত্তর) রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘টেকনাফ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে কুরিয়ারে আইস ও ইয়াবা ঢাকায় আসছে। যেসব কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আইস আসছে, আমরা সেগুলোর বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি করছি। ঢাকা, কক্সবাজারসহ সারা দেশেই আমাদের নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আইসের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা নিয়মিতভাবে কাজ করে চলেছেন।’

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিশ্বে পুরোনো মাদক হলেও আইস দেশে নতুন। পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের কারবারিরা যখন আইস ব্যবসা শুরু করেছে, তখন দেশে এই মাদক আসতে শুরু করে। ব্যাপক নজরদারির মধ্যেও দেশের ভেতরে এই মাদক ঢুকছে। আমরা মাদক চালান নিয়ন্ত্রণে চেকপোস্ট বাড়াচ্ছি।’

আ্ইসের ভয়াবহতা নিয়ে প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল বলেন, ‘আইস মাদকে ক্ষতিকর সব কিছু আছে। নতুন এই মাদক গ্রহণ তরুণ ও যুবসমাজকে ধ্বংস করে দেবে। রাজনৈতিক অঙ্গনকেও ধ্বংস করে দেবে। শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নয়, সবাইকে নতুন মাদক আইস নির্মূলে এগিয়ে আসতে হবে। ঘরে ঘরে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/৫নভেম্বর/মোআ)