৬ গ্রামীণ নারীকে সম্মাননা দিলো ‘আলোকিত শিশু’

প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০২১, ১০:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আন্তর্জান্তিক গ্রামীণ নারী দিবসকে সামনে রেখে সম্প্রতি, ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ ও ‘ইউকে এইড’ এর সহায়তায় ‘আলোকিত শিশু’ ও ‘ভলান্টিয়ার অপরচুনিটিজ’ কর্তৃক আয়োজিত হলো ‘আলোকিত গ্রামীণ নারী সম্মাননা ২০২১’ অনুষ্ঠান। 

রাজধানীর খামারবাড়ি সড়কে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) তে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের মূল স্লোগান ছিল ‘গ্ৰামীণ নারী দিবসের দাবি, ঘরে ঘরে নারীর কাজের স্বীকৃতি’। 

এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল আলোকিত গ্রামীণ নারীদের সফল হয়ে ওঠার পেছনের গল্পগুলো জানা এবং তাদের কমিউনিটিতে অসাধারণ নেতৃত্ব বা অবদানের জন্য সন্মাননা প্রদান করা। 

মূলত দুইটি ক্যাটাগরিতে তিনজন করে এই সন্মাননা প্রদান করা হয়েছে, ক্যাটাগরিগুলো হল ‘গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তা’ ও ‘গ্রামীণ নারী নেতৃত্ব’। 

গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে বিজয়ী তিন নারী হলেন-জমিলা বেগম, শাপলা দেবী ত্রিপুরা ও শিরিন আক্তার আশা। এবং গ্রামীণ নারী নেতৃত্ব ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছেন- খুজিস্থা বেগম জোনাকী, সাবিত্রী হেমব্রম ও মনিষা মীম নিপুণ।

পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি গ্রামীণ নারীদের প্রাপ্য সম্মান, স্বীকৃতি ও অধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেশব্যপী আটটি বিভাগের ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী কর্তৃক সাক্ষরিত ১১ হাজার লিখিত অঙ্গীকারনামা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়। 

‘স্বাক্ষর হোক পরিবর্তনের অঙ্গীকারনামায়’ শীর্ষক এই আয়োজনে লক্ষ্য ছিল ১০ হাজার তরুণের হতে গ্রামীণ নারীর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অঙ্গীকার ও স্বাক্ষর সংগ্রহ করা। এবং লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১১ হাজার তরুণ গ্রামীণ নারীদের জন্য ভিন্নরূপী অঙ্গীকার যেমন- নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতারোধ, বাল্যবিবাহ রোধ, গ্রামীণ নারীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি বরাদ্দ নিশ্চিতসহ বিভিন্ন অঙ্গীকার লিখে ও স্বাক্ষর করে সংহতি জানান।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আরোমা দত্ত। এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজোয়ান হক, প্রধান বার্তা সম্পাদক, মাছরাঙা টেলিভিশন; শম্পা রেজা, অভিনেত্রী ও অ্যাক্টিভিস্ট; রাশেদ মুজিব নোমান, প্রতিষ্ঠাতা, হিউম্যানিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফাউন্ডেশন; আহসান ভুঁইয়া, প্রতিষ্ঠাতা, পরিবর্তন করি; তাওহিদা জাহান, সহকারি অধ্যাপক ও চেয়ারপার্সন, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; বিপাশা শারমিন হোসেন, সিনিয়র টেকনিকাল এডভাইজার, সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশ; রেজওয়ানুল হক জামি, হেড অফ ই-কর্মাস, এটুআই ও বনশ্রী মিত্র নেওগী, জেন্ডার এডভাইজার, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুই ক্যাটেগরির বিচারক প্যানেল- এলেন সেলিমা হোসেন, প্রোগ্রাম ও প্রকল্প পরিচালক, বেটারস্টোরিজ লিমিটেড; সারাহ জিতা, জাতীয় পরামর্শদাতা, ইউএনডিপি; তানজিরাল দিলশাদ দিতান, প্রতিষ্ঠাতা, ক্রেয়নম্যাগ; নাসিমা আক্তার নিশা, যুগ্ম সম্পাদক, ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ; শবনম মুশতারী, কান্ট্রি ম্যানেজার, লিডারশিপ ইন মোশন ও সামিয়া আফরিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ফোর্ট্রেস ভেনচারস লিমিটেড।

(ঢাকাটাইমস/৭নভেম্বর/এজেড)