অধিদপ্তর থেকেই এডিজি চান পাসপোর্টের কর্মকর্তারা

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) পদে প্রেষণে নিয়োগ না দিয়ে নিজস্ব যোগ্য ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের পদায়নের দাবি ওঠেছে। এতে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বঞ্চিত হওয়ার যেমন আশঙ্কা থাকবে না, তেমনি পাসপোর্টপ্রত্যাশীদের সেবা বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ১৪ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রশাসন ক্যাডারের একজন যুগ্ম সচিবকে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে প্রেষণে পদায়ন করে সরকার। অন্য দপ্তর বা ক্যাডার থেকে কর্মকর্তা আসায় অধিদপ্তরের আটটি ধাপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে হতাশায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অধিদপ্তরের আরপি, এমআরভি এবং ই-পাসপোর্ট ও ই-ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর। এই কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলে কার্যক্রম পরিচালনায় দীর্ঘসূত্রিতা ও জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই জটিলতায় জনসেবা ও জনস্বার্থ বিঘ্নিত হবে।

অন্যদিকে, বৈদেশিক মিশনে পাসপোর্ট-ভিসা উইংয়ে নিজস্ব কর্মকর্তাদের পদায়ন চান ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। প্রায় আট বছর আগে সরকার দেশের বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে প্রবাসীদের উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট ও ভিসা উইং স্থাপন করে। ১৯টি মিশনের জন্য তখন ৭৩টি পদ তৈরি করা হয়েছিল। অর্থাৎ প্রতি উইংয়ের জন্য তিন থেকে পাঁচটি পদ। এই পদগুলো বহির্গমন এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) কর্মকর্তাদের দিয়ে পূরণ করার কথা ছিল। ২০১৫ সাল থেকে চালু হওয়ার পর একজন ডিআইপি কর্মকর্তাও প্রথম সচিব হিসেবে নিয়োগ পাননি, যেটি এই উইংয়ের শীর্ষ পদ। জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবরাই মূলত এই পদে নিয়োগ পেয়েছেন। অথচ উইংয়ের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ডিআইপি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেন।

ডিআইপির কর্মকর্তারা জানান, বৈদেশিক মিশনের পাসপোর্ট-ভিসা উইংয়ে বহির্গমন এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) কর্মকর্তাদের পদায়নের বিষয়টির মূল প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু এই অবস্থানগত পরিবর্তনের কারণে শুধু ডিআইপির দক্ষ কর্মীরাই বঞ্চিত হচ্ছেন না, এতে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং সারা বিশ্ব থেকে আসা পর্যটকরা উন্নত সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না শর্তে ডিআইপির কয়েকজন কর্মকর্তা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘পাসপোর্ট সেবা দেওয়া একটি কারিগরি বিষয় এবং সঠিক মানুষকে সঠিক পদে বসানো হলে মিশনে আরও উন্নত সেবা দেওয়া যাবে।’

জানতে চাইলে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হলেও এখনো কেউ যোগদান করেননি। তবে অধিদপ্তর থেকে কেউ এডিজি হতে পারবেন না এমন কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। যদি হয়ে থাকে আমরা জানি না, তবে এটি উচিত হবে না।’

আইয়ূব চৌধুরী বলেন, ‘বৈদেশিক মিশনে পাসপোর্ট-ভিসা উইংয়ে নতুন কোনো প্রজ্ঞাপন হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অধীনে যে পদগুলো ছিল পুরোনো লোকজন বদলিয়ে নতুন লোকজনকে পাঠানো হচ্ছে।’

(ঢাকাটাইমস/০৮নভেম্বর/এসএস/জেবি)