রজনীগন্ধা সেলে পত্রিকা-বই পড়ে দিন কাটে হেলেনার

আশিক আহমেদ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২১, ১৮:৪০ | প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর ২০২১, ১৮:২২

ব্যবসা-বাণিজ্য ও আইপি টেলিভিশনে টক শো নিয়ে এক সময় দিন-রাত ব্যস্ত সময় কাটতো আলোচিত আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের। চার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন মাস ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ আছেন। সেখানে একাকীত্বে সময় কাটছে তার।

কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, সিআইপি বন্দি হওয়ায় কারাগারের রজনীগন্ধা সেলে বন্দি আছেন এই নারী ব্যবসায়ী। সেখানে বই-পত্রিকা পড়ে সময় কাটছে এই নারী উদ্যোক্তার।

সূত্রটি আরও জানায়, সকালে ফজর নামাজের মধ্য দিয়ে দিন শুরু হয় হেলেনা জাহাঙ্গীরের। এরপর সকালের নাশতা খেয়ে পত্রিকা পড়েন। কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করেন। পরে দুপুরের খাবার খান। একটা সময় আইপি টেলিভিশন ‘জয়যাত্রা’ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সরব উপস্থিতি থাকলেও এখন কারাগারে কথা বলার মতো তেমন কোনো সঙ্গী নেই। তবে সময় পেলে অন্য বন্দিদের সঙ্গে গল্প করে কিছুটা সময় পার হয় আলোচিত-সমালোচিত এই নারী উদ্যোক্তার।

হেলেনার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে কারা সূত্রটি জানায়, হেলেনা জাহাঙ্গীরের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। প্রতিদিন স্বাভাবিক খাবার খান তিনি। তাকে খুব একটা চিন্তিত দেখা যায় না।

ফেসবুকে বেশ সক্রিয় হেলেনা জাহাঙ্গীর মূলত একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত হলেও পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। গত জুলাইয়ে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়। ওই পোস্টার ছড়িয়ে পড়ার পর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ হারান হেলেনা জাহাঙ্গীর।

গত ২৯ জুলাই রাতে গুলশান-২ এ হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয় এবং পরে র‌্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটকের পর তার প্রতিষ্ঠান জয়যাত্রা টেলিভিশন কার্যালয়েও অভিযান চালায় র‌্যাব।

ওই অভিযানের পর র‌্যাব জানায় জয়যাত্রা টেলিভিশন কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র ছাড়া চলতো। জয়যাত্রা টেলিভিশনের জন্য সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ করেছিলেন হেলেনা। প্রবাসী প্রতিনিধি নিয়োগের নামে তিনি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ৩০ জুলাই। চারটি মামলায় কয়েক দফায় তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। চার মামলার মধ্যে দুটির তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অন্য দুটির তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ ও পল্লবী থানা পুলিশ।

গুলশান ও পল্লবী থানায় করা মাদক, বিশেষ ক্ষমতা আইনের তিনটি মামলায় জামিন পেয়েছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় জামিন না পাওয়ায় তিনি এখন কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের দুটি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। তবে মামলাগুলোর তদন্ত কাজ এখনও শেষ হয়নি।

ঢাকাটাইমস/০৮নভেম্বর/এএ/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

মজুত ফুরালেই বাড়তি দামে বিক্রি হবে সয়াবিন তেল

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংকট

ছাদ থেকে পড়ে ডিবি কর্মকর্তার গৃহকর্মীর মৃত্যু: প্রতিবেদনে আদালতকে যা জানাল পুলিশ

উইমেন্স ওয়ার্ল্ড: স্পর্শকাতর ভিডিও পর্নোগ্রাফিতে গেছে কি না খুঁজছে পুলিশ

জাবির হলে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে জঙ্গলে ধর্ষণ, কোথায় আটকে আছে তদন্ত?

নাথান বমের স্ত্রী কোথায়

চালের বস্তায় জাত-দাম লিখতে গড়িমসি

গুলিস্তান আন্ডারপাসে অপরিকল্পিত পাতাল মার্কেট অতি অগ্নিঝুঁকিতে 

সিদ্ধেশ্বরীতে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু: তিন মাস পেরিয়ে গেলেও অন্ধকারে পুলিশ

রং মাখানো তুলি কাগজ ছুঁলেই হয়ে উঠছে একেকটা তিমিরবিনাশি গল্প

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :