দস্যুতা ছাড়লেও মামলার কারণে মিলছে না স্বস্তি

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০২১, ০৯:১৯ | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২১, ১৪:১৪

সিরাজুম সালেকীন, সুন্দরবন থেকে ফিরে

বিএনপির সরকারের আমলে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে খুঁজতে থাকেন কাজ। একপর্যায়ে শুরু করেন রিকশা চালানো। আয় কম হওয়ায় যোগাযোগ করেন এক জলদস্যু নেতার সঙ্গে। যোগ দেন দস্যুতায়। হরিণ শিকারে গিয়ে দস্যু নেতার মৃত্যু হলে নিজেই অস্ত্র কেনেন। গড়ে তোলেন ‘জাহাঙ্গীর বাহিনী’, যার প্রধান হন নিজেই।

দীর্ঘ এক দশকের দস্যুজীবনের ইতি টানেন ২০১৭ সালে। র‌্যাবের হাতে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেও এখনো স্বস্তি পাচ্ছেন না জাহাঙ্গীর। তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রত্যাহার না করায় অস্বস্তিতে দিন কাটছে তার। তিনি আশঙ্কা করছেন, মামলা প্রত্যাহারে দীর্ঘসূত্রতা চলতে থাকলে অনেকে ফিরে যেতে পারে আগের দস্যুতা পেশায়।

সুন্দরবনের একসময়ের ত্রাস জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে কথা হয় ঢাকাটাইমস প্রতিবেদকের। আলাপে তিনি জানিয়েছেন তার অস্বস্তিকর জীবনের নানা কথা।

জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধানের কাছে প্রশ্ন ছিল, দস্যুজীবন ছেড়ে এখন সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে বাসবাস করছেন, সেই জীবন আর এই জীবনের মধ্যে কী পার্থক্য দেখছেন?

উত্তরে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এই জীবনটাই ভালো। কিন্তু আমার মনের মধ্যে যে একটা আগুন সব সময় জ্বলছে তা হলো, ‘মামলা’। আমি আত্মসমপর্ণ করেছি, কিন্তু মামলার কারণে ভালো নেই। আমার নামে পাঁচ-সাতটা মামলা। যেকোনো সময় যদি সাজা হয়ে যায়, তাহলে তো আর স্বাভাবিক জীবনে ফেরা হলো না। আমি তো সবকিছু দিলাম; অস্ত্র দিলাম, গুলি দিলাম, বোট দিলাম, চাল দিলাম, বাড়ি দিলাম, খ্যাতা (কাঁথা) পর্যন্ত দিলাম। তাহলে আমার মামলা এখনো রয়েছে কেন? আজ পাঁচ বছর আমার কিছুই নেই, ঢাকায় গাড়ি চালায় খাচ্ছি। আর কত নিচে নামব! এর থেকে কি আমার ওই কাজই (জলদস্যুতা) ভালো ছিল? আগের পেশায় থাকলে আমার পরিবারকে এত দিনে অনেক কিছু দিতে পারতাম।’

মামলা প্রত্যাহার হবে এই আশায় র‌্যাবের সঙ্গে বিভিন্ন অভিযানে গেলেও মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা জাহাঙ্গীর। বলেন, ‘র‌্যাব আমার প্রতি সহানুভূতিশীল। আমি মাঝেমধ্যে তাদের সঙ্গে (র‌্যাবের) অভিযানে যাই। কেন যাই জানেন? যদি মামলাগুলো থেকে রক্ষা পাই। সব সময় দস্যুদের বলেছি, আমি সুন্দরবনে থাকব না তোরাও থাকিস না। আমার যন্ত্রণা, আমাদের মামলাগুলো প্রত্যাহার হচ্ছে না। আমাদের টাকা-পয়সা কিছুই দরকার নেই।’

জাহাঙ্গীরের পরিবারের সদস্যসংখ্যা ছয়জন। স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে। বড় ছেলে ডিপ্লোমা পড়া শেষ করতে পারেনি করোনা ও টাকার অভাবে। আর দ্বিতীয় ছেলে হাফেজি পড়ছে। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, আরেকজন ছোট।

২০১৭ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধানসহ ২০ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেন। সেসময় তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ৩১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক হাজার ৫০৭ রাউন্ড গুলি জমা দেন। পরের বছরের ১ নভেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে আনুষ্ঠানিকভাবে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। এরপর থেকে দস্যুমুক্ত সুন্দরবন হিসেবে দিনটি পালন হচ্ছে।

এখন দিনকাল কেমন কাটছে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এখন ঢাকায় অটোগাড়ি চালাই। মানে লেগুনা। এখন আমার কেউ কি কিছু দেবে? একসময় আমার কোটি কোটি টাকা ছিল। রামপালে যদি বলতাম এখনই আমার এককেজি সোনা কিনে পাঠাতে হবে, পাঠায় দিত। আর এখন যদি একটা বিড়ি চাই, কেউ পাঠাবে না রে ভাই।’

সরকার থেকে যে অর্থ সহায়তা করা হয়েছিল তা দিয়ে কী করেছেন এমন প্রশ্নে অনেকটা বিরক্তি ভাব দেখা যায় জাহাঙ্গীরের কণ্ঠে। সুন্দরবনের একসময়ের এই দস্যুনেতা বলেন, ‘ও আমার তিন মাসের কেসের (মামলার) টাকাও হবে না। আমার টাকার দরকার নেই। আমার মামলাগুলো তুলে নিক। আপনাগোর (আপনাদের) পা ধরেছি। পা ধরে মাফ চাইতি (চাইতে) বলেছেন, চাচ্ছি। তাও আমাদের মামলাগুলো তুলে নেন। আমি এখা্ন থেকে মামলার জন্য বরগুনা যাই, কয় দিন লাগে জানেন? আর অস্ত্র, মার্ডার মামলার নাম শুনলে উকিল (আইনজীবী), মহুরিরা খাইতে খাইতে এমন হয়েছে, বলে পাঁচ হাজার ট্যাকা দে। এক ডেটে কোর্টে না উঠলে উকিল, মহুরি, পেশকারে ওয়ারেন্ট করে দেয়।… একটা তারিখ না উঠলে।’

‘মানুষ আমাদের ভালো থাকতে বলছে, প্রশাসনের সবাই বলছে- ভালো থাকো, ভালো থাকো।… ভালো কেউ থাকবে না।’ বলেন তিনি।

দস্যুতা ছেড়ে যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে তাদের কারও সাজা হলে অন্যরা স্বাভাবিক জীবন ছেড়ে আগের পেশায় যেতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানান জাহাঙ্গীর। বলেন, ‘আত্মসমপর্ণ করা জলদস্যুরা যদি দেখে আমার সাজা হয়ে গেছে, তাহলে আর কাউকে পাওয়া যাবে না। আমি একটাই কথা বলছি, যদি অন্য আত্মসমপর্ণ করা সদস্যরা দেখে- ওর (জাহাঙ্গীরের) সাজা হয়ে গেছে তাহলে ৩৬৫ জনকে (জলদস্যুদের) আর পাওয়া যাবে না। আমি জাহাঙ্গীর বলে দিলাম, অন্যরা বলবে ‘মামলা যখন একই, আমি গেলেও ওই সাজা। তুই গেছিস, তোর সাজা হয়ে গেছে, আমাদের হবে না কেন?’ যতই দুধ দিয়ে কলা দিয়ে ভাত খাওয়াচ্ছেন, মূল কাজ মামলা তুলে নিচ্ছেন না। এর বেশি আর শুনতে চেয়েন না। …’

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম এই মিটিংয়ে (দস্যুমুক্ত সুন্দরবন দিবসের তৃতীয় বর্ষপূর্তি) আমাদের মামলার কথা বলবে, মামলাগুলো তুলে নিবে। কিন্তু তা হলো না। আমি তো এখানে টাকা নিতে আসিনি। যতই হাসি-খুশি থাকি, এই বুক ভরা যন্ত্রণা। যেদিন এই মামলা থাকবে না, সেদিন শান্তি পাব।’

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কেউ বলতে পারবে, আমি যেদিন আত্মসমপর্ণ করেছি এরপর আমার নামে মামলা হয়েছে? কারণ আমি কোনো খারাপ কাজে যায় না। যত দিন ধরে স্যালেন্ডার (সারেন্ডার) করেছি ততদিন এই প্রশাসনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। সেটা সুন্দরবন হোক, আর উপরে হোক।’

‘আমাদের যতগুলো লোক আছে সবাই আতঙ্কে আছে, মামলায় তাদের কী হবে। আমি ২০১৭ সালে আত্মসমপর্ণ করার পর আজ পাঁচ বছর মামলা চালাচ্ছি। ২০ হাজার করে কত টাকা যে উকিলকে দিছি, নিজের খরচ বাদে তার হিসাব নেই। যে টাকা সরকার ও র‌্যাব দেয় তা তো এক কোর্টের টাকা, তারপর? আবার বরগুনা কোর্টে গেলে দুই-তিন লাখ নেই। এ সময় কোনো উপার্জনের সুযোগও নেই।’

একেক মামলায় ছয়-সাত লাখ টাকা না দিলে জামিন হয় না জানিয়ে  জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান বলেন, ‘মামলায় কোটি কোটি টাকা শেষ হয়ে গেছে। এখন যদি মামলা না উঠায়, তাহলে পিছনে আর জায়গা নেই। আমি যে পিছনে যাব, এক পাও জায়গা নেই।’ আক্ষেপ করে বলেন- ‘সুন্দরবনে ডাকাত ভরে যাক, আমি আর যাব না।’

দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আত্মসমপর্ণ করা অনেকে ভারতের সিম ব্যবহার করে। তারা ভারতে ১০-১৫ বছর একেকজন বসবাস করছে। ভারতে যোগাযোগ করে ভারতের লোক দিয়ে ডাকাতি করে। এদের কেউ কেউ ২০১৮ বা ২০১৯ সালে আত্মসমপর্ণ করেছিল। দুজন আত্মসমপর্ণ করে আবার ভারতে চলে গেছে। যারা আগে থেকে ভারতে থাকত তাদের সেখানে একটা গ্যাং আছে, সেখানে তাদের লিঙ্ক আছে। জলদস্যুদের অনেকের ভারতে বাড়ি আছে। যাদের অনেকে আত্মসমপর্ণ করেছে তারা সেখানে যাতায়াত করে, দেশে আসে যাই।’

নিজের ভারতে বাড়ি ছিল জানিয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি যদি দেশে আত্মসমপর্ণ করি তাহলে ভারতে আমার কী! ভারতে আমার (জাহাঙ্গীর) বাড়ি ছিল। একদামে সেটা বিক্রি করে দিছি।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান বলেন, ‘আমি জলদ্স্যুতা করেছি কিন্তু গরিবের হক কোনো দিন মারিনি। আমি কোটিপতির টাকা লুট করেছি। আমি যা কামাইছি, সেই টাকায় চারটা এতিমখানা চালাইছি। প্রতি শুক্রবারে সেখানে ভালো ভালো খাবার দিতাম। টুপি, জায়নামাজ, কম্বল কিনে দিয়েছি। যখন আত্মসমপর্ণ করি তখনও ৪৯টা কম্বল কিনে দিয়ে এসেছি। ২০১৭ সালের আগে আমার দলে অনেক লোক ছিল। আমার সঙ্গে ২০ জন নিয়ে আত্মসমপর্ণ করি। ১৫ জনকে আরেক গ্রুপ করে আরেকটা নাম দিয়ে আত্মসমপর্ণ করিয়েছি। আরেকটাতে করেছি নয়জন। ছোট রাজু বাহিনীর সব অস্ত্র-গুলি আমার ছিল। এত লোক, এত অস্ত্র নিয়ে একবারে আত্মসমপর্ণের সুযোগ ছিল না, তাই ধাপে ধাপে করেছি।’

দস্যুতায় কীভাবে জড়িয়েছেন জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘একসময় বিএনপির কোপকাঁপ (হামলা) খেয়ে স্থানীয় একজন রাজনীতিবিদের সঙ্গে রামপাল ছাড়লাম। সুন্দরবনে জলদস্যুতা করে, আত্মসমর্পণ করে আবার এই রামপালে পা দিলাম। নয়-দশটা বছর কেটে গেছে দস্যুতা করে। রাজনীতির কারণে এই রামপাল থেকে গেছি; ছোট থেকে বড় সবাই তা জানেন। স্থানীয় রাজনীতিবিদও এটা জানেন। বিএনপির হামলার পর তিনি (একজন রাজনীতিবিদ) নিজের টাকা দিয়ে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। সেখান থেকে তার বাসায় গিয়ে পালিয়ে ছিলাম। কাজের জন্য ফ্যাক্টরিতে গেছি, বিএনপির লোকেরা আমাকে বের করে দিয়েছে। ফেনীতে গেছি রিকশা চালাতে, দেখি পেট বাঁচে না। সেখান থেকে যোগাযোগ করলাম মোরেলগঞ্জের সুন্দরবনের এক লিডারের সঙ্গে। এরপরই চলে গেলাম। সেখানে ভালোই চলছিল। একদিন হরিণ মারতে (শিকার) গিয়ে ওই লিডারকে বাঘে নিয়ে গেল। এরপর নিজেই অস্ত্র কিনলাম চারটা। নিজেই লিডার সাজলাম। জীবনের এমন অনেক কাহিনী আছে।’

যন্ত্রণায় রামপাল ছেড়েছেন জানিয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এই জীবনে কেউ সাধে গিয়েছিল! কেউ যন্ত্রণায়। জলদস্যুতায় গিয়ে আমাকে কেউ কুপাতে পারেনি। … বিএনপির সময় আমার মাথায়, কপালে, পাঁয়ে ও শরীরে কুপিয়েছে। সাধে তো যাইনি ওই পেশায়। বহু যন্ত্রণার পর এই রামপাল ছেড়েছিলাম।’

২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে র‌্যাব মহাপরিচালককে প্রধান সমন্বয়কারী করে সুন্দরবনের জলদস্যু দমনের টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে জলদস্যু মুক্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। লিড এজেন্সি হিসেবে র‌্যাব ২০১২ সাল থেকে সুন্দরবনে জোরালো অভিযান পরিচালনা শুরু করে।

র‌্যাবের তৎপরতায় ২০১৬ সালের ৩১ মে বিনা যুদ্ধে প্রথম দাপুটে জলদস্যু মাস্টার বাহিনী আত্মসমপর্ণ করে। ৫১টি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রায় পাঁচ হাজার রাউন্ড গুলি ও তাদের ব্যবহারের সিক্স সিলিন্ডারের ট্রলার নিয়ে ১৩ সদস্যের এই দলটি র‌্যাবের কাছে সব জমা দেয়। দেশে এটি প্রথম ঘটনা, সুন্দরবনকেন্দ্রিক কোনো বড় দস্যুবাহিনী বিপুল আগ্নেয়াস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে সব মহলে। দেশ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যম এই সংবাদটি বেশ গুরুত্বের সাথে প্রচার করা হয়। এরপর একে একে দস্যুবাহিনী আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।

২০১৮ সালের এই দিনে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে আনুষ্ঠানিকভাবে দস্যুমুক্ত এলাকা ঘোষণা করেন।

সূত্র বলছে, র‌্যাবের হাতে ২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন সদস্য আত্মসমর্পণ করে। তাদের কাছ থেকে ৪৬২টি অস্ত্র ও ২২ হাজার ৫০৪ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে তাদের মামলাগুলো তুলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। ফলে অনেকের মধ্যে আগের পেশায় ফিরে যাওয়ার সুপ্ত বাসনা দেখা দিয়েছে।

গত ১ নভেম্বর বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনটির জলদস্যু মুক্ত হওয়ার তিন বছর পূর্তি হয়। সেদিন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছিলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের যারা মার্ডার (খুন) ও ধর্ষণ করেছেন, তাদের বিষয়ে কোনো আইনগত সহযোগিতা করা হবে না। কারণ এ দুটি খুবই জঘন্য ও গর্হিত অপরাধ। যদি কারো আত্মীয়-স্বজন খুন হয়ে থাকে তাহলে সেই খুনের বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কোনো নারী ধর্ষিত হলেও তার বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। দস্যুদের এই দুটি অপরাধ ছাড়া বাকি সব ধরনের অপরাধের বিষয়ে নমনীয় হবো।’

(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/এমআর/মোআ)