কেন্দ্র থেকে ব্যালট উধাও, মিলল নৌকায় সিল মারা ব্যালট

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৯:১৩

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ৮নং পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৫নং কেন্দ্র গ্রামপাঙ্গাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৪নং বুথ থেকে অলৌকিকভাবে হারিয়ে গেছে চেয়ারম্যান ভোটের ব্যালট পেপার, কিন্তু এর মুরি রয়েছে প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট। ৩নং বুথ থেকে পাওয়া গেছে নৌকার সিল মারা ২৬টি ব্যালট।

যেখানে সেই সিরিয়ালের ব্যালট পেপারের সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য ভোটের ব্যালট পেপার রয়ে গেছে। কিন্তু এত বড় ঘটনা ঘটে গেলেও এর কোনও উত্তর নেই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ইউসুফ আলী ও সেই ৪নং বুথের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চান্দাইকোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জলি খাতুন ও দুজন পোলিং এজেন্ট জাহাঙ্গীর আলম ও আশরাফুল ইসলামের।

এছাড়াও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নিকট থেকে পাওয়া গেল নৌকায় সিল মারা ২৬টি ব্যালট পেপার।

সরেজমিনে ওই কেন্দ্রে দেখা গেছে, ৪নং বুথে সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচনের ব্যালট পেপার থাকলেও নেই চেয়ারম্যান নির্বাচনের ব্যালট পেপার। কিন্তু সেই ব্যালটের মুরি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নিকট আছে বলে তিনি স্বীকার করলেও তা সাংবাদিকদের দেখাতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আকবর হোসেন নির্বাচনের নানান অনিয়মের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি এসে দেখি একটা বুথের সব ব্যালটে সিল মারা ও আরেকটা বুথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর কোনও ব্যালটই নাই। সেগুলো আগেই নৌকা প্রতীকে কেটে নেওয়া হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে সেই বুথের দায়িত্বে থাকা চান্দাইকোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জলি খাতুনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার এসকল ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ৩নং বুথের সিল মারা ব্যালটগুলো এবং যে ব্যালটগুলো আগেই সিল মেরে শেষ করা হয়েছে; সেগুলোর মুরি বই আমার কাছে আছে। তবে এসকল বিষয়ে কোনো বক্তব্য না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে ইউনিয়নের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নান্নুর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, আমি প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন- একটা ব্যালট বই কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ছিনিয়ে নিয়েছিল এবং আমি তা উদ্ধার করে আমার হেফাজতে নিয়েছি। কিন্তু ইউপি সদস্যদের ব্যালট পেপার থাকলেও চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট পেপার না থাকার বিষয়ে তিনি আমাকে কিছু জানাননি।

(ঢাকাটাইমস/১১নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :