আ.লীগের শক্ত ঘাঁটি কালকিনি-ডাসারে নৌকার ভরাডুবি

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর ২০২১, ০১:৩০

মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নয়টি ইউনিয়নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। মাত্র তিন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। আওয়ামী লীগের শক্তি ঘাঁটিতে নৌকার ভরাডুবিতে বিভিন্ন মহলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে গুঞ্জুন উঠেছে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, কালকিনি ও ডাসার উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা হলেন: কয়ারিয়া ইউনিয়নে কামরুল হাসান নূর মোহাম্মদ, সাহেবরামপুরে মাহবুবুর রহিম মুরাদ সর্দার, শিকারমঙ্গলে সিরাজুল আলম, লক্ষ্মীপুরে মৌসুমী হক সুলতানা, বাঁশগাড়ীতে মোস্তফিজুর রহমান সুমন, গোপালপুরে ফরহাদ মাতুব্বর, কাজীবাকাইতে নূর মোহাম্মদ হাওলাদার, নবগ্রামে দুলাল তালকুদার ও বালিগ্রামে মজিবুর রহমান খান। আর তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন আলীনগর ইউনিয়নে সাহীদ পারভেজ, সিডিখানে মো. চাঁন মিয়া শিকদার ও ডাসারে রেজাউল করিম ভাসাই শিকদার। তবে রমজানপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদে বি.এম মিল্টন ইব্রাহিম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হন।

মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হলেও ইউনিয়ন পরিষদে মনোনীত প্রার্থীদের ভরাডুবিতে হতাশ স্থানীয়রা। অনেকেই দাবি করছেন, মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে অযোগ্য লোককে নৌকার মাঝি করা হয়েছিল। যার কারণে এমন ভরাডুবি। আর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকা জনগণের এই রায়কে মনোনয়ন বাণিজ্যের বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন।

সাহেবরামপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মী ইকবাল হোসেন বলেন, ‘কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে নৌকা কেনাবেচা হয়েছে। যে কারণে আমরা আওয়ামী লীগের যারা ত্যাগী, কিন্তু নৌকা পায়নি, তাকে সমর্থন দিয়েছি। এভাবে যদি নৌকার মনোনয়ন বাণিজ্য হয়, তাহলে আর নৌকা প্রতীক না দেয়াই ভালো।’

অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়নি। পরাজয় হয়েছে মনোনয়ন বাণিজ্যের। যারা মনোনয়ন পেয়েছে তারা এক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে টাকা দিয়ে নৌকা কিনে এনেছে। এই কারণে জনগণ মনোনয়ন বাণিজ্যের বিরুদ্ধে তাদের রায় দিয়েছে। আর যারা স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ী হয়েছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগ করেন। কেউ আওয়ামী লীগের বাইরে নয়। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগ যাদের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলাম, সেখান থেকে ইচ্ছে মতো টাকার বিনিময় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী না হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখব। কোন কোন কারণে প্রার্থীরা হতে পারল না, সেটা আমাদের বুঝতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :