কিছু সরকারি কর্মকর্তা ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ বক্তব্য দিচ্ছেন: কাদের

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০২১, ১৪:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ওবায়দুল কাদের (ফাইল ছবি)

কিছু দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারি কর্মকর্তা কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এমন ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘জনপ্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকর্তাদের কেউ কেউ সভা-সেমিনারে তাদের দায়িত্বের সীমারেখা অতিক্রম করে বক্তব্য রাখছেন; যা মোটেই শোভন নয়।’

শুক্রবার সকালে ওবায়দুল কাদের তার বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্বহীন এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য রেখে চলেছেন। শুধু রাজনীতিবিদই নন, জনপ্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকর্তাদের কেউ কেউ সভা-সমিতি-সেমিনারে তাদের দায়িত্বের সীমারেখা অতিক্রম করে বক্তব্য রাখছেন, মন্তব্য করেছেন, যা মোটেই শোভন নয়। রাজনীতিবীদ কিংবা সরকারি কর্মকর্তা সবারই একটি সুনির্দিষ্ট সীমারেখা আচরণবিধি আছে, সকলের এ সীমারেখা মেনে চলা অতি আবশ্যক।

সবাইকে এমন বক্তব্য দেওয়া বা মন্তব্য করার ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিমণ্ডল বিবেচনা করা তথা সীমারেখা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কারো কারো অতি-উৎসাহি এবং বাড়তি কথা বা বক্তব্যে জনমনে ভুল মেসেজ যেতে পারে, যা দেশের জন্য মোটেই শুভ নয়।’

শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধ সমালোচনা করা বিএনপির এখন প্রতিদিনের রাজনৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ ও দেশের জন্য তারা কিছু করতে না পারলেও মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের কাজটি সুনিপুণভাবে করে যাচ্ছেন। তবে চূড়ান্ত বিচারে এসব অপপ্রচার বিএনপির বিরুদ্ধেই যাবে এবং যাচ্ছে, যা তারা এখনো বুঝতে পারছে না। এসব সত্য বিএনপি যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে ততই তাদের জন্য মঙ্গল বলেও মনে করেন কাদের।

বিচারব্যবস্থা দলীয়করণ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে বিএনপি মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমালোচনা করেন সেতুমন্ত্রী। বলেন, তাদের সমালোচনার এসব পুরনো হাতিয়ার এখন ভোঁতা হয়ে গেছে। এসব বিএনপির ধারাবাহিক কল্পিত অভিযোগের চর্বিত-চর্বন মাত্র।

দেশের বিচারবিভাগ স্বাধীনভাবেই কাজ করছে জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিচারের রায় বিএনপির পক্ষে গেলে বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন আর বিপক্ষে গেলে বলে সরকারের হস্তক্ষেপ। এগুলো তাদের পুরনো অভ্যাস। বিএনপির নীতি হচ্ছে, বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার।

বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হলে বলে আরও বেশি ভোটে জয়ী হতে পারতো, আর হারলে বলে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কাছে নিরপেক্ষ কমিশন মানে হচ্ছে নির্বাচনে জয়লাভের গ্যারান্টি প্রদান।

৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে ‘স্বতস্ফূর্ত এবং উৎসবমুখর পরিবেশে’দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, অনেকে আহত হয়েছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।’ তিনি সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসবমুখরতা তা ধরে রাখতে সকলকে আরও সতর্ক থাকার আহবান জানান।

পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ ধরে রাখতে নির্বাচন কমিশন ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান কাদের।

ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/টিএ/এমআর