জন্মদিনে নানা আয়োজনে বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তিকে স্মরণ

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০২১, ১৮:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়ধারার কিংবদন্তি হুমায়ূন আহমেদ। ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্রে সফল এই নন্দিত লেখকের ৭৪ তম জন্মদিন আজ।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় তার জন্ম। ডাকনাম কাজল। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজ। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, আর মা গৃহিণী। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তার অন্য দুই ভাইও বরেণ্য ও প্রতিভাবান। কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল তার ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক।

লেখার জাদুতে যেমন আলোড়ন তুলেছেন, তেমনি সৃজনশীলতার সব শাখাতেই পাঠক ও দর্শকদের নিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়েছেন। পাঠকদের জন্য উপহার দিয়েছেন ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্রসহ ইত্যাদি।

এই লেখার জাদুকেরের কলমের ছোঁয়ায় প্রকাশ পেওয়া বইয়ের সংখ্যা তিনশ'রও বেশি। যার মধ্যে রয়েছে নন্দিত নরকে, লীলাবতী, কবি, শঙ্খনীল কারাগার, গৌরিপুর জংশন, নৃপতি, বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রি, দারুচিনি দ্বীপ, শুভ্র, নক্ষত্রের রাত, কোথাও কেউ নেই, আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের দিন, জোছনা ও জননীর গল্প, এমন ঝড় তোলার মতো নানান উপন্যাস উপহার দিয়েছেন আমাদের।

বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক `একুশে পদক` লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।

মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য  যুক্তরাষ্ট্রে যাবার পর ২০১২ সালের ১৯ জুলাই  সেখানেই তিনি মারা যান। মাত্র ৬৪ বছর বয়সেই তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। সেখান থেকে মরদেহ ঢাকায় আনার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে লাখো মানুষের অশ্রু পুষ্পতে সিক্ত হন তিনি। ২৪ জুলাই নুহাশপল্লীর লিচুতলায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। সেদিন গভীর শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল তার লাখো ভক্ত অনুরাগী।   ‍মারা গিয়ে আজো তিনি বেঁচে আছেন লক্ষ পাঠকের হৃদয়ে।

(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/কেআর/ইএস)