ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১২:৫৫ | প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১২:৩২
গ্রেপ্তার আরিফ মিয়া

দ্বিতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধা সদর থানার লক্ষীপুর ইউনিয়ন থেকে জয়ী ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ মাস্টারকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তার নাম আরিফ মিয়া। উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বোদার একটি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে এলিট ফোর্সটি।

রবিবার সকালে ঢাকাটাইমসকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন র‍্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ।

মাহমুদ বশির জানান, বোদা উপজেলার একটি গ্রাম থেকে আরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। কখন ও কোন গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়টি জানা যায়নি। দুপুরে রংপুর র‍্যাব ক্যাম্পে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তার আরিফের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

গ্রেপ্তার আরিফ মিয়া সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের মাগুরের কুটি গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি।

আব্দুর রউফ মাস্টার দ্বিতীয় ধাপের অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি লক্ষীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। আব্দুর রউফ গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুর রউফ তার প্রতিবেশী রুহুল আমিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি একটি ভাঙা ব্রিজ হেঁটে পার হচ্ছিলেন তারা। এ সময় একই গ্রামের এক যুবক লোহার রড দিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালান। আব্দুর রউফের মাথায় কয়েকটি আঘাত করে পালিয়ে যান ওই যুবক। দ্রুত উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আব্দুর রউফের কর্মী-সমর্থক ও উত্তেজিত জনতা আরিফ মিয়ার বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কয়েক দফায় লক্ষীপুর বাজারসহ আশপাশে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং গ্রামবাসী।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন শনিবার রাতে সদর থানায় একটি মামলা করা হয়। নিহতের বড় বোন মমতাজ বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় আরিফ মিয়াকে প্রধান ও অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদার রহমান।

ঢাকাটাইমস/১৪নভেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :