সিটিং সার্ভিস ‘ওয়েবিল বন্ধ’ ঘোষণাতেই শেষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১৫:১০ | প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১৪:২২

রাজধানীতে রবিবার থেকে সিটিং সার্ভিস বা ওয়েবিলের নামে কোনো গণপরিবহন চলবে না বলে বাস মালিকদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হলেও তা ঘোষণাতেই শেষ আছে। বাস্তবে মাঠের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা।

অন্যসময়ের মতোই রবিবারও রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ওয়েবিলের নামে গাড়ির যাত্রী গুণে লিখে দিতে দেখা গেছে বাস কোম্পানির চেকারদের। যদিও চেকারদের দাবি, ওয়েবিল বন্ধই আছে। কিন্তু যাত্রীদের হিসাব রাখার জন্য তারা নির্ধারিত সিটে লিখে রাখছেন। অন্যদিকে ঘোষণা দিয়েও ওয়েবিল বন্ধ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা।

সাভার পরিবহনের একজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘টিভিতে দেখলাম বাসের মালিকরা বললো সিটিং সার্ভিস বন্ধ আজকে থেকে। এখন তো দেখি আগের মতো চেক করে লিখে দিচ্ছে। তাইলে বন্ধ হইলো কি?'

ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে গত ৭ নভেম্বর ঢাকায় ডিজেলচালিত বড় বাসে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ২ টাকা ১৫ পয়সা ও মিনিবাসে ২ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় বিআরটিএ। বড় বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ঠিক করা হয় ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা। যেসব বাস সিএনজিতে চলে, সেগুলোর ভাড়া বাড়বে না।

ভাড়া বাড়ানোর পরই অনেক বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।

এর মধ্যে গত বুধবার ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির কার্যালয়ে বাস ভাড়া বাড়ানোর পরবর্তী অবস্থা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্যাহ জানিয়েছেন, রাজধানীতে ওয়েবিল সিস্টেমেও আর বাস চলবে না। গাড়িতে ভাড়ার চার্ট ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রবিবার থেকে ওয়েবিল বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে বন্ধ হয়নি।

সরেজমিন দেখা গেছে, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অন্যদিনের মতোই রজনীগন্ধা, টান্সসিলভা, হিমাচল, শিকড় পরিবহন, ওয়েলকামসহ আরও বেশ কয়েকটি বাস কোম্পানির নিজস্ব চেকাররা ছাউনিতে বসে আছেন। মাথার ওপর ঝুলিয়ে রেখেছেন ওয়েবিলের কাগজ।

কিছুক্ষণ পর পর বাস আসতেই তারা ছুটে যাচ্ছেন বাসে। অন্যসময়ের মতো বাসে কতজন যাত্রী উঠছে তা সিটে লিখে রাখছেন। পাশাপাশি কন্ড্রাক্টরের কাছ থেকে ১০টাকা করে রেখে দিচ্ছেন। আগেও এসব চেকাররা প্রতিবার স্বাক্ষরের জন্য ১০টাকা করে বাস থেকে নিতেন।

প্রেসক্লাবের সামনে একাধিক চেকারের সঙ্গে কথা হয় ঢাকাটাইমসের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব চেকার জানান, ঘোষণা দিলেও মালিকরাই আমাদের মাঠে রেখেছেন। আমরা যাত্রী কতজন হচ্ছে লিখে রাখছি। নইলে সারাদিন কত যাত্রী চললো তার হিসাব তো পাওয়া যাবে না।

আগের ওয়েবিল আর এখনকার সময়ের মধ্যে পার্থক্য কি- এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে কিছুটা বিব্রতবোধ করেন চেকাররা। পাশ থেকে একজন বলেন, ‘ঘোষণা দিছে ওই জায়গাই শেষ। দুদিন পর আর কেউ এসব নিয়ে কথাও বলবে না।’

ঢাকাটাইমস/১৪নভেম্বর/বিইউ/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :