সিডরে ভেসে যাওয়া রিয়া এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী

বরগুনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ২১:৫০

সিডরে ভেসে বেঁচে যাওয়া সেই রিয়া এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। পুরো নাম নাহিন হক রিয়া। সিডরের সময় তার বয়স ছিল চার বছর। তিনি বরগুনার মেয়ে।

রিয়ার বাবা যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার এম মজিবুল হক কিসলু। তিনি থাকেন বরগুনা জেলায়। রিয়ার বাবা বলেন, সেদিনের কথা আমি সারাজীবনে ভুলতে পারব না। আমার বাসার সব নষ্ট হয়ে গেছে। তারপরও আমার সন্তান রিয়াকে পেয়ে সব কষ্ট ভুলে গেছি। আমাদের রিয়া এখন বড় হয়েছে। রাজউকে পড়াশোনা শেষ করে এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করে।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যার পরে বৃষ্টি শুরু হয়। বাতাসের তীব্রতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। মাইকিং চলছে- ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে। জনসাধারণকে নিকটতম আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করছে প্রশাসন।

রাত সাড়ে ১০টায় রিয়ার বাবার বাসায় পানি প্রবেশ করে। কিন্তু রিয়ার পরিবার টের পায়নি। সবাই প্রতিবেশী আব্বাস হোসেন মন্টু মোল্লার উঁচু ভবনে আশ্রয় নেন। রিয়াদের পরিবারের কাউকে না দেখে প্রতিবেশী মাহমুদুল আজাদ রিপন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রিয়ার বাবার বাসায় সাঁতরে এসে দরজায় নক করেন। রিয়ার বাবা দরজা খুলতে গিয়ে দেখে তার বাসায় হাঁটু পর্যন্ত পানি। দরজা খোলার সাথে সাথে বাসার মধ্য পানি ঢুকে যায়।

পানির তীব্র স্রোতে চার বছরের রিয়া ভেসে যাচ্ছিল। রিয়ার পরিবার কান্নাকাটি শুরু করে। অন্ধকারে কিছু দেখা যাচ্ছে না। ভেসে যাওয়া নাহিদ হক রিয়াকে বাঁচানোর জন্য পানিতে ঝাঁপ দিয়ে রিপন কোলে তুলে নেয় রিয়াকে। পানিতে ভাসতে ভাসতে রিয়াকে নিয়ে রিপন পাশের মন্টু মোল্লার ভবনে নিয়ে যায়।

রিয়ার পরিবার রিয়াকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। রিয়াকে তার পরিবার না পেয়ে অন্য সন্তান রাকিবকে নিয়ে বুক সমান পানিতে সাঁতার কেটে মন্টু মোল্লার ভবনে আশ্রয় নিতে গেলে সেখানে রিয়াকে পাওয়া যায়। অসংখ্য মানুষ রিয়াকে দেখে যে যেরকম পারে শুকনো কাপড় এনে দেয়। সারা রাত রিয়ার পরিবার মন্টু মোল্লার ভবনে রিয়াকে নিয়ে রাত কাটায়।

(ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :