খালেদার বিদেশ যাওয়ার আবেদন পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৪৭ | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ফাইল ছবি)

চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মন্ত্রী বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে নতুন করে জেলে গিয়ে তাঁকে আবেদন করতে হবে। ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারা অনুযায়ী একবার আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার পর একই বিষয়ে আবার নতুন আবেদন গ্রহণ করার সুযোগ নেই।’

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বেশ কিছুদিন বাসায় চিকিৎসা নিলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত শনিবার থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। এই প্রেক্ষিতে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য অনুমতি চেয়ে সম্প্রতি খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নতুন করে আবেদন করেন। পরে আবেদনটির বিষয়ে আইনি মতামত চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারার ওপর ভারত, পাকিস্তানসহ দেশের উচ্চ আদালতের অনেক ডিসিশন রয়েছে। রুমিন ফারহানা এসব দেখতে পারেন। এ মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে কারাগারে গিয়ে আবেদন করা ছাড়া বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদনের সুযোগ নেই।’

বিএনপি প্রধানের বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে এর আগে গত ৫ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। পরে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেই আবেদন ‘মঞ্জুর করা যাবে না’ মর্মে মতামত দেয় আইন মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রণালয়ের এ মতামতের ওপর ভিত্তি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদনটি নাকচ করে দেয় তখন।

খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে করা এ আবেদন মঞ্জুর না করার বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তখন জানিয়েছিলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার আলোকে খালেদা জিয়ার সাজা ও দণ্ডাদেশ আগেই স্থগিত করে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির একই ধারা অনুযায়ী, দ্বিতীয়বার তাঁকে অনুরূপ সুযোগ দিয়ে বিদেশে যেতে দেওয়ার সুযোগ নেই।’

(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/বিইউ/এমআর)