জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি বিএনপির

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জ্বালানি তেলে মূল্য বাড়ায় সমগ্র অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে অবিলম্বে জ্বালানি তেল ও এলপিজি গ্যাসের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

সোমবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠকের পরদিন মঙ্গলবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবের মন্তব্যে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে দেশের জনগণ ভোগান্তিতে পড়ছে। জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ায় সমগ্র অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সভায় সম্প্রতি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা, প্রাণহানি, কারচুপি ও জালিয়াতির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে দেশের গণতন্ত্রের জন্য এবং তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার প্রশ্নে চরম হুমকি স্বরূপ বলে অভিহিত করা হয়। বিএনপি এই আইন করার সময়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল এবং এই আইন সামাজিক বিভাজন ও সহিংসতা বৃদ্ধি করবে বলে মত প্রকাশ করেছিল। এই নির্বাচনে চলমান সহিংসতার ঘটনায় বিএনপির বক্তব্যই সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলো।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সরকারি দলের নগ্ন হস্তক্ষেপ, প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব ও ইসির চরম ব্যর্থতা নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই অবিলম্বে বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যোগ্য নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয় সভায়।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সোমবারের সভায় সম্প্রতি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক চার বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়। সভা মনে করে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণেই সীমান্তে ভারত কর্তৃক বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলা হয় সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ করার জন্য গুলি করে মানুষ হত্যা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া সভায় সীমান্তে বিএসএফ নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে আগামী ১৮ নভেম্বর লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জে, ১৯ নভেম্বর  সিলেট জেলার কানাইঘাটে এবং ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/বিইউ/এমআর)