খালার বাড়িতে দুই কিশোরী, অপহরণ মামলায় হাজতে ব্যবসায়ী!

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২১, ১১:০০ | প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর ২০২১, ১০:৪৯

প্রতিবেশিকে হয়রানি করতে দুই মেয়েকে বোনের বাড়ি পাঠিয়ে অপহরণের মামলা করেন নিপা আক্তার। মামলায় আসামি করা হয় সাভার পৌর এলাকার পোল্ট্রি মুরগি ব্যবসায়ী জারিফুল ইসলামকে। পুলিশ তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলেও পাঠায়। নেওয়া হয় তিন দিনের রিমান্ডেও। এতদিন পর জানা গেলে পুরো ঘটনাই সাজানো। ওই দুই কিশোরী অপহরণ হয়নি।

শুক্রবার মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার কল্যাণপুরে নিখোঁজ কিশোরী বীথির খালার বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার জারিফুলকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ করেন কিশোরীর মা নিপা আক্তার।

আটক জারিফুল লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। সাভার পৌর এলাকার শাহীবাগের আইচনোয়াদ্দা এলাকায় ভাড়া থেকে পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসা করতেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাভারের ওই এলাকার বাসা থেকে ঘুরতে বের হয় মারিয়া সুলতানা ফিহা ওরফে মুক্তা (১১) ও বিথী আক্তার (১৪)। এসময় প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে অপহরণ করেন জারিফুল।

পরদিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী মুক্তার মা নিপা আক্তার। অভিযুক্ত জারিফুল বিথী ও মুক্তাদের প্রতিবেশি ভাড়াটিয়া।

অভিযোগের ভিত্তিতে গত রবিবার ১৪ নভেম্বর সাভারের শিমুলতলা এলাকা থেকে জারিফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। দুই কিশোরীর কোন খোঁজ না মেলায় ১৫ নভেম্বর মামলা হয়।

পরে আটক জারিফুলকে আদালতে পাঠিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় সাভার থানা পুলিশ। রিমান্ড শেষে গত ১৮ নভেম্বর তাকে আবার আদালতে পাঠানো হলে খোঁজ মেলে দুই কিশোরীর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা নিজের ইচ্ছায় বীথির খালার বাসায় বেড়াতে যায়। কিন্তু অপহরণের অভিযোগে জারিফুল এখনও হাজতে।

মামলার বাদী নিপা আক্তার বলেন, আমার মেয়ের সন্ধান পেয়েছি। তাকে উদ্ধারও করেছে পুলিশ। তারা বীথীর খালার বাসায় নিজের ইচ্ছায় গিয়েছিল।

তাহলে জারিফুলকে আসামি করলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি তো কিছুই জানি না। আমার মেয়ে বীথির সাথে বাসা থেকে বের হয়েছে। যখন খুঁজে পাচ্ছিলাম না তখন বিথীর বোন বকুলের কাছে যাই। সে বলে জারিফুল তাদের অপহরণ করেছে। তাই থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম।

এ ঘটনার সাথে জারিফুল সম্পৃক্ত কিনা জানতে চাইলে তিনি তার মেয়েকে জিজ্ঞেস করে বলেন, তার মেয়েরা একাই সেখানে গিয়েছিল।

মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার অভিভাবক রয়েছে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিথীর দুলাভাই সাইফুল ইসলাম জানান, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার কল্যাণপুর এলাকার বীথির খালার বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের খোঁজ মেলে যে তারা সেখানে আছে। আমরা তাদের জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছি যে তাদের ইচ্ছায় তারা সেখানে গিয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, ভিকটিমদের উদ্ধার করা হয়েছে।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, এখনো ফাইনাল কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :