উত্তরপত্র পাওয়ার ১০ মিনিট পর পরীক্ষার্থীরা জানল তারা বহিষ্কার!
জামালপুরের সরিষাবাড়ী সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (ভোক) পরীক্ষা কেন্দ্রে রবিবার ট্রেড দ্বিতীয়পত্র বিষয়ের উত্তরপত্র হাতে দেয়ার ১০ মিনিট পর দুজন শিক্ষার্থীকে জানানো হয় তারা বহিষ্কার।
দুজন শিক্ষার্থী যথারীতি কক্ষ পরিদর্শকের কাছ থেকে খাতা নিয়ে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে বৃত্ত ভরাট করেন। পরে তাদের কাছ থেকে উত্তরপত্র ও এডমিট কার্ড নিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা যথারীতি পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে খাতা নেই এবং বৃত্ত ভরাট করি। পরে আমাদেরকে জানানো হয় গত ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অসদুপায় করার জন্যে আমাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা কোনো অসদুপায় করি নাই। শুধু একটু দেখাদেখি করেছিলাম মাত্র। আমাদেরকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
কান্নাজড়িত কন্ঠে শিক্ষার্থী বর্ষা আক্তার বলেন, ‘বহিষ্কার করা হলে ১৬ অক্টোবরই নোটিস দেয়া উচিত ছিল, তা আজ পাঁচ দিন পরে কেন? ১৬ অক্টোবর এ বিষয়ে কোনো নোটিস দেওয়া হয় নাই।’
বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের একজন উপজেলার শেখ খলিলুর রহমান ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের (ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন) ট্রেডের শিক্ষার্থী, অন্যজন চর বাঙ্গালী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের (ড্রেস মেকিং) ট্রেডের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও সরিষাবাড়ী সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদা পারভীন বলেন, ‘বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের একজন ছেলে, অন্যজন মেয়ে। ওরা আজকে যথা সময়ে পরীক্ষার হলে আসছিল। ওদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে যে, সামনে পরীক্ষার ভালো প্রিপ্রারেশনের জন্যই তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আর এডমিট কার্ড নিয়ে তাদেরকে ভালোভাবে বুঝিয়ে হল ত্যাগ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
(ঢাকাটাইমস/২১নভেম্বর/কেএম)