‘শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করলে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসার সুযোগ নেই’

রাফিউজ্জামান লাবীব, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১২:০৯ | প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১১:১২

সংগঠনের নাম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, শারীরিকভাবে হেনস্তা ও শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আচরণ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) হল কমিটির নতুন নেতৃত্বে আসার সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

ছাত্রলীগের হল কমিটির নতুন নেতৃত্ব প্রসঙ্গে ঢাকা টাইমসের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মূলবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বা কারো ব্যক্তি স্বাধীনতায় আঘাত করলে হল কমিটি কেন, ছাত্রলীগের রাজনীতিতেও তার স্থান হবে না বলে জানান সাদ্দাম হোসেন। তবে সংগঠনের জন্য যারা নিবেদিত প্রাণ, যাদের কোনো ধরনের নেতিবাচক রেকর্ড নেই এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে সক্ষম এমন নেতৃত্বকে স্থান দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কাঠামোতে গেস্টরুম বলে কোনো ধারণা নেই। কেউ যদি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে, ব্যক্তিগত বলয় তৈরি করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ন্যূনতম খারাপ আচরণ বা শারীরিক হেনস্থার ঘটনা ঘটায় তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।'

ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, ‘যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আচরণ করে, যারা ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করে না, তাদের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।'

ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মী আত্মমর্যাদাবান, ব্যক্তিত্বে বলিষ্ঠ ও আচার-আচরণে সৎ, তাই হল কমিটিতে স্থান না পেলেও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি বা কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে জানিয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘হলগুলোতে অনেক নিবেদিত প্রাণ কর্মী রয়েছে, যারা নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। আমরা চাই ভালো নেতৃত্বটাই আসুক। যারা হল কমিটির নেতৃত্বে আসতে পারবে না তাদেরও আমরা সংগঠনের জন্য যোগ্য মনে করি। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি এবং কেন্দ্রীয় কমিটিতে সংযোজন বিয়োজন করে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সে ব্যবস্থা আমরা করবো।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে হল কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্রলীগের চারটি গ্রুপে এক শতাধিক প্রার্থী রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। এই গ্রুপ চারটি হলো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শাখার সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।

পদপ্রার্থীদের মধ্যে সংগঠনের জন্য যারা নিবেদিত প্রাণ, সংগঠনের জন্য যারা কাজ করেছেন, যারা ঢাবি শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য, তারা হল কমিটির পদ পাওয়ার যোগ্য বলে জানান সাদ্দাম। তিনি বলেন, ‘যাদের কোনো ধরনের নেতিবাচক রেকর্ড যাদের নেই, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে যারা সক্ষম, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ও মিশন বিনির্মাণে যারা তাদের তারুণ্য নিবেদিত করতে চায়, যাদের মধ্যে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশের চিহ্ন মাত্র নেই, একাডেমিক রেকর্ডস ইত্যাদি সার্বিক বিষয়ে সমন্বয় করে কমিটি দিতে চাই।’

এছাড়াও যারা সৃজনশীল ছাত্ররাজনীতিতে বিশ্বাস করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে নেতৃত্ব দিতে যারা সক্ষম, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে যারা তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে পারবে তাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

গত ৩০ অক্টোবর রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে ২৮ নভেম্বর হল সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে’ হল সম্মেলন আয়োজনের কথা বললেও তাতে ব্যর্থ হন তারা। ২০১৮ সালে এই সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও ছাত্রলীগের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়হীনতা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ থেকে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও গোলাম রাব্বানীর আকস্মিক বিদায়, ডাকসু ও হল সংসদ নিয়ে ছাত্রলীগের ব্যস্ত থাকা ইত্যাদি কারণে এতদিন তা আটকে ছিল। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে হলগুলোতে সম্মেলন করেছিল ছাত্রলীগ।

(ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/আরএল/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :