বুস্টার ডোজ না নিলে কি করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা চলে যাবে?

প্রকাশ | ২৪ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৪৫

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাস ঠেকাতে দুই ডোজ টিকা নিয়েও অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের চিন্তা বাড়াচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি টিকা নেওয়ার পর তাদের স্বাস্থ্যবিধি  মানায় গাফিলতি ছিল? নাকি বুস্টার টিকা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ছে? 

এ নিয়ে বিস্তর সংশয় সৃষ্টি হয়েছে সকলের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে আরও ইমিউনিটি বাড়াতেই বুস্টার টিকা নেওয়া প্রয়োজনীয় কি না। কারণ কিছুদিন আগে বুস্টার ডোজ নিয়ে একটি নির্দেশ জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। 

কাদের বুস্টার ডোজ নেওয়া আবশ্যক ? কাদের নিতে হবে না ? এই নিয়ে গত অক্টোবরেই নতুন পরামর্শ দেয় হু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি ছিল, যাদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম, তাদের বুস্টার ডোজ নেওয়া আবশ্যক। যাদের শরীরে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ততদিন টিকার কার্যকারিতা স্থায়ী হয়।

হু এক প্রেস বিবৃতিতে জানায়, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের কোভিডের ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ জরুরি। 

এছাড়াও কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, যখন এটি ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সময়ের সাথে সাথে হ্রাস পেতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। তবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কার কতটা তার উপর অনেকটাই নির্ভর করছে সেই ব্যক্তির ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না।  

ভ্যাকসিনের দ্বিতীয়  ডোজের পর মোটের উপর ছয় মাস মতো স্থায়ী হয় এর ক্ষমতা। সেই সময়সীমার পরে, টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের অ্যান্টিবডি মাত্রা কমতে শুরু করতে পারে।  তখন, তার বুস্টার ডোজ প্রয়োজন কি না, তা আপনার শরীরের অ্যান্টিবডিরকাউন্টই স্থির করবে বলেই চিকিৎসকদের মত। কিন্তু সুরক্ষা কমে গেলেও, এর মানে এই নয় যে আপনার শরীর ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্সের প্রধান চিকিৎসক বলরাম ভার্গব বলেন, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বা  কোভিড সংক্রমণ আটকাতে বুস্টার টিকার কোনও দরকার আছে বলে কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই। এই টিকা নিতেই হবে এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলেই বলেন ভার্গব।  তাঁর মতে, আগে প্রয়োজন সবার দ্বিতীয় টিকা সম্পূর্ণ করা। আর ভারতের মতো বড় দেশে সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ।  তারপর বুস্টার টিকা যে নিতেই হবে এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। 

(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/এজেড)