ভারতে সংখ্যায় পুরুষের চেয়ে এগিয়ে গেল নারীরা

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১২:৫৮ | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১৪:১২

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
ফাইল ছবি

ভারতে প্রথমবারের মতো সংখ্যার বিচারে পুরুষের তুলনায় নারীরা এগিয়ে গেছে। দেশটির ইতিহাসে আগে কখনও এমনটা হয়নি। সম্প্রতি চালানো সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি এক হাজার জন পুরুষের বিপরীতে নারী রয়েছেন এক হাজার ২০০ জন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গতকাল বুধবার জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষার পঞ্চম পর্যায়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে ভারতে ১০০০ জন পুরুষপিছু নারীর সংখ্যা ছিল ৯২৭। ২০০৫-০৬ সালের জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষায় পুরুষ এবং নারীর সংখ্যা সমান ছিল। অর্থাৎ প্রতি ১০০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ছিল ১০০০ জন। কিন্তু ২০১৫-১৬ সালে জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষায় তা কিছুটা কমে গিয়েছিল। নারী এবং পুরুষের অনুপাত দাঁড়িয়েছিল ৯৯১:১০০০। এবার পুরুষদের টেক্কা দিয়েছেন নারীরা। ফলে জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষা হোক বা আদমশুমারি- এই প্রথমবার কোনো পরিসংখ্যানে পুরুষদের নিরিখে নারীদের সংখ্যা বেশি থাকল।

তবে সেই তথ্য ‘স্যাম্পেল সার্ভে’-র (সমীক্ষা) ভিত্তিতে উঠে এসেছে। যে সমীক্ষা ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে করা হয়। ভারতের ৭০৭টি জেলার ছয় লাখ ৫০ হাজার জনের বাড়িতে চালানো হয় সেই সমীক্ষা।

দ্বিতীয় দফায় অরুণাচল প্রদেশ, চণ্ডীগড়, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, ওড়িশা, পুদুচেরি, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে সমীক্ষা হয়। এজন্য বৃহত্তর জনসংখ্যার ক্ষেত্রে আদৌও সেই তথ্য প্রয়োজ্য কি না, তা আদমশুমারির পরেই স্পষ্ট হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সমীক্ষার ফলাফলে সেই তথ্য উঠে এলেও অনেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্ষেত্রেই সেই তথ্য মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ভারতের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ শীল বলেন, ‘পুরুষ ও নারীর অনুপাত এবং জন্মের সময় পুরুষ ও নারীর অনুপাত যে ভালো হয়েছে, তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আদমশুমারি থেকে আসল ছবিটা স্পষ্ট হলেও এই ফলাফলের দিকে তাকিয়ে বলতে পারি যে নারীর ক্ষমতায়নের আমাদের পদক্ষেপগুলো সঠিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে।’

(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/জেবি)