কারাগারে খালেদাকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে কিনা প্রশ্ন ফখরুলের

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১৮:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পুরান ঢাকার কারাগারে বন্দি থাকা থাকা অবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে কি না তা জানতে চেয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এসময় সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে শুধু নয়, তাকে জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠে-পরে লেগেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। চেয়ারপারসনের মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশের আয়োজন করে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, পুরান ঢাকার ওই কারাগার ছিল একেবারেই পরিত্যক্ত ভবন। যেখানে ইঁদুর-টিকটিকি দৌড়াতো। একটি স্যাঁতসেঁতে প্রায় দুই বছর খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। পরে তাকে পিজি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেও তাকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। সেখান থেকে তার রোগের সূত্রপাত। আজ সালাম সাহেবও (আব্দুস সালাম) বলেছেন, আমরাও পরিষ্কার করে জানতে চাই- কারাগারে খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল কিনা।

ফখরুল আরও বলেন, খালেদা জিয়া এতোই অসুস্থ যে দেশে তার চিকিৎসা সম্ভব নয়। তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে হবে। কিন্তু শেখ হাসিনা শুনতে চায় না। তার মন্ত্রীরা বলছেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা বলছেন, বুদ্ধিজীবীও বলছেন। কিন্তু প্রতিহিংসার কারণে প্রধানমন্ত্রী কারও কথা শুনছেন না।

‘আমরা এমন এক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি- যাদের কাজই হচ্ছে গণতন্ত্র ধ্বংস করা। মানুষকে হত্যা করা এবং আমাদের সব স্বপ্নগুলোকে ভেঙে দিয়েছে তারা। সুতরাং সেই যুদ্ধে অবশ্যই আমাদের অত্যন্ত সাবধান ও কৌশলী হতে হবে।’

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে পুরোপুরি নির্বাসে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পত্র-পত্রিকায় শুনেছি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গণতান্ত্রিক দেশগুলো নিয়ে একটা ভার্চুয়াল সম্মেলন করতে যাচ্ছেন। সেখানে নেপাল, পাকিস্তান ও ভারতের নাম থাকলেও বাংলাদেশের নাম নেই। কয়েকদিন আগে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর বেরিয়ে আসে খবরের কাগজে। সেটি হচ্ছে- দেশের স্বাস্থ্য খাত, প্রতিরক্ষা খাত, যোগাযোগ খাত, প্রশাসন খাত সবগুলোতেই এখন দুর্নীতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এখন সেটা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে আছে। দেশে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে দুর্নীতি নেই।

ঘুষ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য লাখ-লাখ পুলিশ নিয়োগ করা হচ্ছে দাবি করে ফখরুল বলেন, নিয়োগ করা হয় দলীয় ভিত্তিতে। কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এখন সেই বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে চরমভাবে ব্যর্থ। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর-অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা একে-অপরকে হত্যা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/কেআর/ইএস)