সোয়া দুই কোটি আত্মসাৎ: বাগেরহাট পৌর মেয়রের নামে দুদকের দুই মামলা

বাগেরহাট জেলায় আবাহনী ক্লাব কমপ্লেক্স ভবন এবং জেলা ডায়াবেটিক হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ না করে কাজের বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন এবং অবৈধ প্রক্রিয়ায় পৌরসভায় ১৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে সোয়া ‍দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাটের পৌরমেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে বুধবার মামলাটি দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি ঢাকাটাইমস নিশ্চিত করেন দুদক উপপরিচলক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

প্রথম মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাগেরহাট জেলায় আবাহনী ক্লাবের কমপ্লেক্স ভবন এবং জেলা ডায়াবেটিক হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ না করে কাজের বরাদ্দকৃত এক কোটি টাকা অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন বাগেরহাটের পৌরমেয়র খান হাবিবুর রহমান ও পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-২ শাখার অধীনে ২০১৪-২০১৫ অর্থ বৎসরের পৌরসভাসমূহের জন্য উন্নয়ন সহায়তা থেকে পরস্পর যোগসাজশে আপরাধমূলক অসদাচরণ, বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও অসাধুভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অবৈধভাবে এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

দ্বিতীয় মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাগেরহাটের পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পৌর কর্মচারীর চাকরি বিধিমালা-১৯৯২ এর নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ না করে এবং কোনো নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ না করেই অবৈধভাবে ওই পৌরসভায় ১৭ জনেক নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মামলায় পৌরমেয়রসহ নিয়োগ পাওয়া ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

অভিযোগে বলা হয়, বাগেরহাট পৌরসভায় নিয়োগ প্রদান করে বেতনভাতা বাবদ উত্তোলিত সর্বমোট এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।

তাদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এই মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/এসআর/ইএস