স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব গৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২১, ০৮:০৮ | প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর ২০২১, ২৩:৫৬

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আনীত প্রস্তাব সাধারণ বিধি ১৪৭ সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার প্রস্তাবটি ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে গত বুধবার জাতীয় সংসদে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাব সাধারণ বিধি ১৪৭ এর আওতায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আলোচনার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি তার প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। এর আগে ওই দিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংসদে স্মারক বক্তৃতা দেন।

প্রস্তাবটির ওপরে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি, বিরোধী দল ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা দুদিনব্যাপী বিশেষ আলোচনায় অংশ নেন। এতে ৫৯ জন সংসদ সদস্য ১০ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে স্পিকার প্রস্তাবটি সংসদে ভোটে দিলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে সংসদ সদস্যরা বাংলাদেশের ৫০ বছরের অর্জন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অর্জন তুলে ধরেন। এসময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি এবং ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের সদস্যরা বর্তমান সরকারের বেশ কিছু কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন। আলোচনায় তারা জাতীয় ঐকমত্যের কথাও বলেন।

সংসদে পাস হওয়া প্রধানমন্ত্রীর উত্থাপিত প্রস্তাবটি ছিল—‘‘অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশ আজ এক ‘উন্নয়ন বিস্ময়’। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ থেকে ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৬৬'র ছয় দফা, ৬৯'র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চ গণহত্যা, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ মহান শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মুক্তির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৩০ লাখ মহান শহীদ, আত্মত্যাগী ২ লাখ মা-বোন, সব বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় চার নেতা-সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।’’

প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১০ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর জাতির পিতা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করেন। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবার জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নকালে, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ জাতীয় জীবনে নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, সংবিধানকে সামরিক ফরমান দ্বারা ক্ষতবিক্ষত করা, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করা হয়। ১৭ মে ১৯৮১ সালে নির্বাসন শেষে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতিরূপে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা হয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা হয়। ২০২১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশরূপে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ২০০৮ সালের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবতা। দারিদ্র্য হ্রাস, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, গৃহহীন ৯ লাখ মানুষকে ঘর তৈরি করে দেওয়া, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম, নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধসহ মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জিত হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, রেমিট্যান্স, রিজার্ভ প্রতিটি সূচকে অগ্রগতি হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৪১তম। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০' প্রণয়ন করা হয়েছে। করোনা অতিমারির সংকট উত্তরণে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থনীতির চালিকাশক্তি সচল রেখেছে। মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্ণফুলী টানেলসহ স্ব-অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বিশ্বে বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ ও মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বাংলাদেশের সফলতার জয়যাত্রায় যুক্ত করেছে অনন্য মাইলফলক। সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের মধ্য দিয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সফল বাস্তবায়ন ও প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে তারুণ্যদীপ্ত বাংলাদেশ সব চ্যালেঞ্জে উত্তরণ ঘটিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, শোষণ ও বৈষম্যহীন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলারূপে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হোক–এই হোক আমাদের প্রত্যয়।’

সুবর্ণ জয়ন্তীর বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের যে ভিত্তি রচিত হয়েছে তাতে অচিরেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিকসহ সব খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি অর্জন করেছে। এক সময়ের সাড়ে সাত কোটি জনসংখ্যার দেশ আজ ১৬ কোটির বেশী জনসংখ্যায় পরিণত হয়েছে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা আজ স্থানীয়ভাবে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে কৃষি উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্যের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, অথচ এক সময় বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ স্বনির্ভরভাবে টিকে থাকতে পারবে না বলে মতামত দিয়েছিলেন। আজ তাদের সে মতামত মিথ্যা প্রমান করে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

ড. রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শুধু খাদ্যে নয়, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, যোগাযোগ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, শান্তি, শৃঙ্খলাসব সব ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে। এসডিজি লক্ষ্যগুলোর বেশ কয়েকটি অর্জনের পথে এগিয়ে চলছে।

দেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অচিরেই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ ও দূরদর্শী পরিচালনায় দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভাবে আজ এটা স্বীকৃত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মুজিব বর্ষে পাঠানো বার্তায় বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে অভিহিত করেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ' আমরা শুধু উন্নত- সমৃদ্ধ দেশ নয়, ৪১' সাল নাগাদ মেধা মনন, মানবিকতায় উদহারণ সৃষ্টকারী একটি উন্নত- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।'

তিনি বলেন, এ জন্য মেধা, মনন, মানবিকতা, আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

ড. হাছান মাহমুদ গত ১৩ বছরে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ আজ পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের তুলনায় উন্নয়ন ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে। এমনকি সমস্ত সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার যে অমোঘ বাণী অনুরণিত হয়েছে 'কেউ আমাদের দাবাইয়া রাখতে পারবেনা' তা প্রতিটি বাঙালিকে সাহসে বলিয়ান করে তোলে। আর রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু দেশকে সোনার বাংলা নির্মাণে ভিত্তি রচনা করেছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তা হতে দেয়নি। ৭৫এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশের উন্নয়নের গতি থমকে গিয়েছিল, ভূলণ্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার তার আত্মজা শেখ হাসিনা দোশীয়- আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে অপ্রতিরুদ্ধ গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পিতার মতোই কন্যা ' কেউ আমাদের দাবাইয়া রাখতে পারবে না' এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাঙালি জাতিকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। দেশকে শুধু মধ্যম আয়ের নয়, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অন্য সদস্যরা বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতিকে শুধু স্বাধীনতা উপহার দিয়ে ক্ষ্যান্ত থাকেননি, এ মহান রাষ্ট্রনায়ক যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশকে ধাপে ধাপে ক্ষুধা- দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করা কাজ শুরু করেছিলেন। দেশকে এগিয়ে নিয়েও যাচ্ছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তাহতে দেয়নি। তবে বঙ্গবন্ধু বাঙালির হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তার আদর্শের ভিত্তিতে আজ দেশ পরিচালিত হচ্ছে। আর দেশ এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হতে চলেছে।

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির নেতা ছিলেন না, তিনি বিশ্বের সকল নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষেরও নেতা ছিলেন। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার আগে কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠি হত্যা করতে পারেনি, বাংলাদেশের কিছু কুলাঙ্গার মীরজাফরা এ মহান নেতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। তাঁকে হত্যা করে স্বাধীনতার আদর্শকে এবং দেশের উন্নয়নকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়। আজ জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ আজ আবার মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারায় ফিরে এসেছে। খুনিদের বিচার হয়েছে। রায় কার্যকর হয়েছে। এমনকি '৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়েছে। এখনও চলছে। শেখ হাসিনা দলের পতাকা হাতে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছেন। সে থেকে তিনি নিষ্ঠার সাথে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন।

'জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর আজীবন স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ। ঘাতকরা তা হতে দেয়নি। আজ তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা পিতার সে স্বপ্নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশ আজ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।'

আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, চিফ হুইপ নুর-ই- আলম চৌধুরী, বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, হুইপ ইকবালুর রহিম, সরকারি দলের সদস্য আমির হোসেন আমু, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আ, ফ, ম রুহুল হক, আ, স, ম ফিরোজ, এ বি তাজুল ইসলাম, মোতাহার হোসেন, প্রাণ গোপাল দত্ত, শাজাহান খান, আবুল হাসনাত আবদুল্যাহ, এ, কে এম, রহমতুল্যাহ, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, তানভির শাকিল জয়, মৃণাল কান্তি দাস, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, বেগম শবনম জাহান, নাহিদ এজাহার খান, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের শিরীন আখতার, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ফখরুল ইমাম, রুস্তম আলী ফরাজী, মুজিবুল হক, রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ, রুমীন ফারহানা, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের আবদুল মান্নান।-বাসস।

ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যেও সংখ্যায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা: সুজন

মানবাধিকার ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: ড. কামাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :