পানিতে ভেসে বেড়াবে আস্ত শহর!

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১০:৩১

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

বৈশ্বিক উঞ্চতার ফলে গলে যাচ্ছে মেরুদেশের বরফ। পানির স্তর বাড়ছে সমুদ্রের। আগামী দিনে সমুদ্র তীরবর্তী শহরগুলো যে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়তে চলেছে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু প্রকৃতির এই তাণ্ডবের বিপরীতে এক অভিনব সমাধান সামনে আনল দক্ষিণ কোরিয়া। সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে পৃথিবীর প্রথম ভাসমান শহর তৈরি করছে তারা।

প্রশান্ত মহাসাগরের উপর এই বিস্ময়কর শহর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। শুধু তাই নয়, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সেই নতুন শহর ভাসতে শুরু করবে, শুরু হবে পানিপথে তার গন্তব্যহীন যাত্রা। ‘ওসানিক্স’ নামের একটি কোম্পানিকে এই শহর তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাকে সহায়তা করছে জাতিসংঘের হিউম্যান সেটেলমেন্ট প্রোগ্রাম এবং ইউএন-হ্যাবিট্যাট।

কোরিয়া সরকার, জাতিসংঘ এবং ওসানিক্সের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বুসানের ধার ঘেঁষে গড়ে উঠবে ভাসমান শহর।

নির্মাতারা দাবি করেছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ভাসমান শহর গড়ে তোলা হচ্ছে। যাবতীয় প্রাকৃতিক বিপর্যয়, যেমন বিধ্বংসী সুনামি কিংবা লেভেল পাঁচ হ্যারিকেন, কোনো কিছুতেই এই শহরের বড় কোনো ক্ষতি হবে না। বন্যাতেও টিকে থাকবে তা।

বলা হয়েছে, এই ভাসমান শহরে ১০ হাজার মানুষের থাকার মতো পরিষেবা পাওয়া যাবে। একে ভাগ করা হবে ৩০০টি এলাকায়। যত বাড়িঘর সেখানে থাকবে, কোনোটার উচ্চতা সাত তলার বেশি করা যাবে না। সমুদ্রের জলস্তর বাড়লে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই উঁচুতে উঠবে এই শহরও। এখানে কখনো বন্যা হবে না। খাবার বা জলের সমস্যাও এখানে হবে না বলে দাবি করেছেন নির্মাতারা। স্থানীয় উপকরণ দিয়েই এই শহর গড়ে তোলা হবে, ব্যবহার করা হবে বাঁশও।

(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/জেবি)