আমেরিকায়ও গণতন্ত্র নিয়ে ঝামেলা আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১২:৩৬

সিলেট ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘গণতন্ত্র সম্মেলনে’ বাংলাদেশ দাওয়াত না পাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এটা নিয়ে চিন্তিত নয়। গণতন্ত্র নিয়ে আমেরিকা নিজেরাই ঝামেলায় আছে বলে মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই নানা ইস্যুতে বিভিন্ন দেশকে চাপে রাখতে চায়। কখনো গণতন্ত্রের কথা বলে, কখনো সুশাসন, আবার কখনো সন্ত্রাসবাদ আর দুর্নীতির কথা বলে। এটা তাদের একটি রাজনীতি।’

শুক্রবার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নবনির্মিত কার্গো টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ আমন্ত্রণ না পাওয়া প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কে দাওয়াত দিল না দিল তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের গণতন্ত্র আমাদেরই ঠিক করতে হবে। অন্য কেউ ঠিক করে দেবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে এত চিন্তা কেন। সম্মেলন তো শত শত হচ্ছে দুনিয়াজুড়ে, আর নতুন বাইডেন প্রশাসন একটি উদ্যোগ নিয়েছে। বেচারা খুব কষ্ট করে এটা করেছে। এখনো ক্যাপিটালের যে ঘটনা তা সামাল দিতে হচ্ছে। এ রকম একটি পরিপক্ক গণতান্ত্রিক দেশ সেখানেও ঝামেলা হয়। সেদিক দিয়ে আমরা খুব ভালো আছি। আর গণতন্ত্র অন্য কেউ শেখাবে না। দেশের লোকজনই শেখায়।’

এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক বছর ধরে স্থিতিশীল গণতন্ত্র আছে। সব দেশেরই ব্যত্যয় আছে, দুর্বলতা আছে। সব বিষয় সামনে নিয়ে দিনে দিনে যাতে ভালো করতে পারি তা আমাদেরই ঠিক করতে হবে। অন্যের ফরমায়েশে গণতন্ত্র হয় না। শুধু মুখে বললে হবে না মনমানসিকতা থাকতে হবে। আমাদের দেশে সহনশীলতা আরও বাড়াতে হবে। একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে। আমরা আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী করবো।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশে এক সময় গণতন্ত্র ছিল না, দেশের মানুষই গণতন্ত্র এনেছে। আমাদেরই চেষ্টা করতে হবে। আমেরিকার গণতন্ত্রের নমুনা তো দেখেছি। গণতন্ত্র সম্মেলনে কোন কোন দেশকে দাওয়াত দিয়েছে তাও দেখেছি। কাকে দাওয়াত দেবে এটাও তাদের বিষয়।’

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিভিন্ন দেশে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে এ ধরনের অনেকগুলো কার্গো কেনা হয়েছে। আরও ছয়টি ঢাকার জন্য কেনা হয়েছে। শুধু আমাদের সিলেটের টা ইনস্টল (বসানো) হয়েছে। সুতরাং এটা ভালো খবর।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সিলেট থেকে যারা কার্গো পাঠান, তারা প্রথমে ঢাকায় নেন। সেখানে নিয়ে মেশিনে চেক করে তারপর কার্গো বিদেশে পাঠান। এতে অনেক খরচ বাড়ে। সিলেট থেকে কার্গো বিদেশে গেলে পাঠানোর শিপমেন্ট খরচ কমে আসবে।

শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সিলেটে পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিমানবন্দের নেমেই নির্মাণাধীন নতুন কার্গো টার্মিনাল ঘুরে দেখেন তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ স্থানীয় নেতারা।

(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/জেবি)