শীতের সবজিতে বাজার ভরা, দামে মিলছে না স্বস্তি

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১৪:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

শীতকালীন সবজিতে ভরে উঠেছে রাজধানীর বাজার। কিন্তু দামে খুব একটা প্রভাব পড়েনি কাঁচাবাজারে। এখনো চড়া দামেই সবজি কিনতে হচ্ছে নগরবাসীকে। কিছু কিছু সবজির দাম কমলেও বেশির ভাগ সবজির দাম এখনও ক্রেতাসাধারণের নাগালের বাইরে। মাছ-মুরগিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামেও চড়া ভাব লক্ষ্য করা গেছে।

শুক্রবার রাজধানীর শ্যামলী, কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।

কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি শিম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মাঝারি আকারের বাঁধাকপি ৫০ টাকা, মাঝারি আকারের ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গোল সাদা আলু ২৫ টাকা, গোল লাল আলু ৩০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা এবং আকারভেদে প্রতিটি লাউ ৪০-৬০ টাকা, শালগম প্রতিকেজি ৬০ টাকা, পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলাশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। লাউশাক, লালশাক, মুলাশাক আঁটিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হাতিরপুল বাজারের সবজি বিক্রেতা মোমিন শেখ ঢাকা টাইমসকে বলেন, শীতের শুরুতে নতুন টাটকা সবজি আসছে, তাই দাম বেশি। তাছাড়া আমাদের কিনতে হচ্ছে বেশি দামে, আমরা কম দামে বেচবো কেমন করে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, শীতের সময় নতুন নতুন সবজি আসে বাজারে। এতে দাম কমার কথা। কিন্তু বাজারে সবজি প্রচুর এলেও দাম সেভাবে কমছে না।

কারওয়ানবাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে এসেছেন সাব্বির হোসেন। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি। পকেট ভরে টাকা নিয়ে এলেও বাজার দিয়ে ব্যাগ ভরা যায় না। এই পরিস্থিতি হলে আমাদের তো টিকে থাকাই মুশকিল হবে।’

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। কাতল মাছ ২৪০ থেকে ৩৫০, শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে।

(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/কেআর/জেবি)