রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় খালেদা বিদেশ যেতে পারেন: হানিফ

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১৪:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দুর্নীতি মামলায় দণ্ড পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দিলে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) আয়োজিত  ‘বিশ্ব সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও হলি আর্টিজান-মুম্বাই হামলা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় হানিফ এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বড় বাধা বিএনপি জানিয়ে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপি নিজেই এ নিয়ে রাজনীতি ও স্টান্ডবাজি করছে। খালেদা জিয়ার সুস্থতার চেয়ে তাদের কাছে রাজনীতি বড়। সেজন্য খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা বিএনপিই।’

এজন্য  

হানিফ বলেন, ‘খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সেই হিসেবে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করে দিলেই তো তিনি বিদেশে যেতে পারেন। ’

১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়েই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল  মন্তব্য করে হানিফ বলেন, ‘আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। মহান স্বাধীনতার ওপর আঘাত মুক্তিযুদ্ধের পরেই আনা হয়। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়েই এর চূড়ান্ত রূপ পায়। পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় আসে, সেই অপশক্তিকেই তারা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সাহস দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানের দোসরদের গাড়িতে তারা বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়েছিল। জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশেই নয়, এটা বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি, হলি আর্টিজান হামলার মধ্য দিয়ে। ধর্মীয় উগ্রবাদ থেকেই তারা এটা ঘটিয়েছিল।’

খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় হাওয়া ভবনে বসে রাষ্ট্রের ওপর জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তারা ২৪ জনকে হত্যা করেছিল। ২০০৫ সালে ১৭ আগস্টে সিরিজ বোমা হামলা আমরা দেখেছি। সারাদেশে হামলা চালিয়ে দেশে জঙ্গিদের একটা শক্ত অবস্থান তারা জানান দিয়েছিল। আমরা দেখেছি, বাংলা ভাই প্রকাশ্যে তার এলাকায় মিছিল করেছিল। বিএনপি জোটের মদদেই এটা ঘটেছিল।’

বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান এমপি, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচয়িতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সংবিধান প্রণেতা ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আলী সিকদার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, সিনিয়র সাংবাদিক ও সাবেক সভাপতি বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/কেআর/জেবি)