কাগজের ঠোঙায় খাবার খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি!
প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০৯:১৯
খাবার থেকে শুরু করে শুকনা মশলা-সহ খাদ্যদ্রব্যের নানা উপকরণের মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে খবরের কাগজের ঠোঙা৷
খবরের কাগজ দিনের দিন পড়ার জন্য হলেও তার পরে নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। পেতে বসা থেকে তার উপরে খাবার রেখে খাওয়া সবই করা হয়। খবরের কাগজের ঠোঙায় চাল, ডাল থেকে মুড়ি-তেলেভাজা, মিষ্টি অনেক কিছুই দেওয়ার প্রচলন রয়েছে।
খবরের কাগজের ঠোঙায় খাবার পরিবেশন খাদ্যসুরক্ষার বিচারে খুবই বিপজ্জনক৷ এমনকি, সেই ঠোঙায় আনা কাঁচা খাবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে রান্না করে ফেলার পরও ঝুঁকি কমে না৷
খবরের কাগজ রাসায়নিক ভাবে ‘রিসাইকেল’করে তা দিয়ে প্রস্তুত কাগজ ও কার্ডবোর্ডের উপাদানেও রয়ে যায় বিপদ৷ কেননা, খবরের কাগজের কালির মধ্যে থাকা নানা রাসায়নিকের হরেক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে৷ এর মধ্যে থাকা রং, রঞ্জক পদার্থ যেমন ক্ষতিকর, তেমনই কালির মধ্যে থাকা নানা রকম বাইন্ডার্স, অ্যাডিটিভস ও প্রিজার্ভেটিভস৷ কারণ, এ সবেরই মধ্যে থাকে ক্যানসারের জন্ম দিতে সক্ষম ভারী ধাতু, খনিজ তেল এবং থ্যালেট জাতীয় চরম ক্ষতিকারক রাসায়নিক৷
খবরের কাগজের ঠোঙার মাধ্যমে সাধারণ সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও রয়েছে ষোলো আনা৷ কালি থেকে বদহজমের পাশাপাশি খাদ্যনালীর নানা অসুখও হতে পারে৷ শরীরের নানা অঙ্গে ওই সব রাসায়নিকের বিষক্রিয়াও বিজ্ঞানে প্রমাণিত৷ এবং এমন ঠোঙা ব্যবহারকারীদের মধ্যে শিশু-কিশোর-বয়স্কদের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি তাদেরই যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় কম৷ এদের যে কারও যে ক্যানসারও হতে পারে। ঠোঙা হিসেবে ব্যবহার নয়, খাবার মুড়ো রাখা কিংবা ভাজা খাবারের তেল শুষে নেওয়ার জন্যও যে ভাবে পুরোনো খবরের কাগজের দেদার ব্যবহার হয় তা-ও অত্যন্ত বিপজ্জনক৷
চিকিৎসকের মতে, ‘সাধারণত রঙের মধ্যে যে সব উপাদান থাকে, সেগুলো থেকে মূত্রথলি ও ফুসফুসের ক্যানসার এবং ত্বকের নানা অসুখের আশঙ্কা রয়েছে৷ তবে সত্যিই সে ভয় কতটা এবং কোন কালি থেকে কী আশঙ্কা রয়েছে, নির্দিষ্ট ভাবে তার কোনও প্রামাণ্য নথি এখনও অধরা৷
এ নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে৷ সাধারণত কালির মধ্যে থাকা বিভিন্ন ‘কার্সিনোজেনিক’যৌগ শরীর থেকে ছেঁকে বের করে দেয় কিডনি৷ কিন্ত্ত দীর্ঘক্ষণ সেই সব যৌগ মূত্রথলির সংস্পর্শে থাকায় সেখানে ক্যানসার হওয়া বিচিত্র নয়৷
(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/আরজেড/এজেড)