শীতে রুক্ষ ত্বকের যত্নে আয়ুর্বেদিক তেল

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১০:৪১

শীতকালে রুক্ষ-শুষ্ক ত্বক নিয়ে সবাই নাজেহাল। নামী-দামি ক্রিম লাগিয়েও ত্বকের কোন ফল পাওয়া যায় না। সবচেয়ে ফলপ্রসূ হতে পারে যদি বাড়িতেই বানিয়ে নেন কিছু তেল।

আয়ুর্বেদ দৃষ্টিকোণে শীতকালে নিয়মিত তেল মাখার বহুমুখী গুণাগুণ রয়েছে। এতে যেমন শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে, মাংসপেশী সুদৃঢ় হয়। তারুণ্য বজায় রাখে, ক্লান্তি নাশ করে, এটি নিদ্রাদায়ক। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে অভ্যঙ্গ বা তেল মালিশ এক অদ্বিতীয় উপাচার।

নিয়মিত মাথায় তেল মাখলে কেশ কোমল, ঘন, কৃষ্ণবর্ণ ও লম্বা হয় ও শিরোশূন্যতা সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।

তেল নিয়মিত সারা শরীরেই মাখা উচিত তবে বিশেষরূপে মাথা, কান ও পায়ের পাতাই তেল মালিশের মুখ্যস্থান। আয়ুর্বেদের মতে শীতকালে ব্যবহৃত তেলটি বাতনাশক গুণযুক্ত হতে হবে।

দ্রব্যগুণ দৃষ্টিকোণে তিল তেল গুরু গুণ যুক্ত, বলকারক, বর্ণ প্রসাদক, সূক্ষ্মস্রোতগামী, বাতনাশক, পুষ্টিকারক, শরীর লঘুতাকারী এই তিল তৈলাভ্যঙ্গ চর্ম, কেশ ও চক্ষুর হিতকারক।

খাঁটি সরিষার তেল উষ্ণ স্পর্শ, লঘু, তীক্ষ্ণ গুণযুক্ত অন্যদিকে এটি কফ, মেদ, শিরোরোগ, কর্ণরোগ ও দুষ্টব্রণ নাশক।

নারিকেল তেল এটি গুরুগুণ যুক্ত, পুষ্টিকারক, বাত পিত্তপ্রশমক, শ্বাস, কাশ, স্মরণশক্তি হীনতায় প্রশস্ত।

তেল তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতি

মুখের সৌন্দর্যচর্চায় কুমকুম তেল

যাদের ত্বক রুক্ষতার জন্য জৌলুসহীন হয়ে পড়ছে তারা ৫০ গ্রাম পরিমাণ নারিকেল তেলে ৪-৫ গ্রাম জাফরান মিশিয়ে কাচের শিশিতে মুখবন্ধ অবস্থায় দিন চারেক রৌদ্রে রেখে দিন। তারপর নিয়মিত রূপে এটি ব্যবহার করলে ত্বকের রুক্ষতা দূরীভূত হয়ে মুখের লাবণ্য ও কান্তি ফেরে।

ত্বকের পুষ্টিরক্ষায় অশ্বগন্ধা

১০০ গ্রাম মতো জৈতুনের তেলে ৫ গ্রাম অশ্বগন্ধা ও ৫ গ্রাম বলাচূর্ণ মিশিয়ে মৃদু আঁচে পাক করে ছেঁকে রাখুন। এই তেলের অভ্যঙ্গ ত্বকের পুষ্টি রক্ষায় অদ্বিতীয়।

ব্যথা-বেদনা উপশমে নিশিন্দা তেল

শীতকালে শরীরে বাতের যন্ত্রণায় প্রায়ই যারা কষ্ট পাচ্ছেন তারা ১০০ গ্রাম তিলতেল মৃদু গরম করে একমুঠো পরিমাণ নিশিন্দা পাতা দিয়ে মৃদু তাপে পাক করে নিন।পাতাগুলো তাপে বাদামী বর্ণের হতে শুরু করলে তেলটি নামিয়ে ছেঁকে রাখুন। বাতের প্রাথমিক স্তরের ব্যথা বেদনায় এই নিশিন্দা তেলের ব্যবহার বেশ ফলপ্রসূ।

চুলের পরিচর্যায় আমলা ভৃঙ্গরাজ তেল

কাচের বোতলে পরিমাণমতো নারকেল তেলের সঙ্গে শুকনো আমলা ও ভৃঙ্গরাজ মিশিয়ে রাখুন। নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে চুল থাকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে।

বিবিধ ত্বকের বিকারে কণ্ডুঘ্ন তেল:

শ্বেতচন্দন, জটামাংসি, অমলতাস, নক্তমাল, নিম, কুটজ, দারুহরিদ্রা, যষ্টিমধু ইত্যাদি দ্রব্য সহযোগে পূর্বোক্ত মাপে তৈরি তেল চর্মের বিবিধ সমস্যায় যথেষ্ট ফলপ্রসূ।

(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :