কুড়িগ্রামে শসার কেজি ৫ টাকা!

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ২০:৩৮ | প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ২০:২৩

কুড়িগ্রামে এ মৌসুমে শসার ফলন বাম্পার হয়েছে। শুধু সদর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও শসার আবাদ বেশি হয়েছে। শীতের প্রভাব ও বাজারে শসার চাহিদা না থাকায় মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ টাকা মণ বিক্রি করছেন শসা চাষিরা।

শনিবার সরেজমিনে বিকালে সদরের ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর হাটে প্রতিমণ শসা ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা মণ বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে জেলার বিভিন্ন প্রকার আবাদিকৃত সবজি এখানকার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, সদর উপজেলায় শসা চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫০ হেক্টর জমিতে। তবে অর্জিত হয়েছে ১৬০ হেক্টর জমিতে।

সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়ন থেকে যাত্রাপুর হাটে শসা বিক্রি করতে আসা বেলাল হোসন বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে শসা আবাদ করছি। ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে চাহিদা না থাকায় পাইকাররা শসা কিনছে না। ১০০ টাকা মণ দিতে চাইছি তাও নেয় না। কোন উপায় অন্ত না পেয়ে নিজেই ৫ টাকা কেজিতে খুচরা বিক্রি করছি। তাও মানুষ নিচ্ছে না। কিছু বিক্রি করেছি অবশ্য আর বাকিটা বিক্রি না হলে বাড়িতে নিয়ে যাব। শীতকাল এসেই শসার চাহিদাটা কমে গেছে। কয়েকদিন আগেও ৫-৬শ টাকা মণ বিক্রি করলাম।

পাঁচগাছী ইউনিয়ন থেকে বিক্রি করতে আসা রফিকুল ইসলাম জানান, আমি একবিঘা জমিতে শসা আবাদ করছি। কয়েকদিন আগ পর্যন্ত বাজার ভালো থাকায় আমার আসল টাকা তুলেছি। হাটে চাহিদা না থাকায় শনিবার হাটে ৫-৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কপাল ভালো আগেই আসল টাকা তুলতে পারছি। এখন যা আসে আসুক।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, বর্তমানে বাজারে শসার উৎপাদন বেশি আর শীতকালে চাহিদা কম থাকায় হয়তো বা দামটা একটু কম। তবে ওই দিকের কৃষকরা শহরে মার্কেটিং করতে না পারা দাম কমের একটা কারণ।

(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :