আক্ষেপ থাকলেও বোলারদের পাশে লিটন

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২১, ২০:৪৫

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পুরোটা হতাশায় কাটল বাংলাদেশের। দুর্দান্ত প্রথম দিনের পর এদিন লাঞ্চের আগে মাত্র ৭৭ রানে টাইগারদের গুটিয়ে যাওয়া; পরে পাকিস্তানি দুই ব্যাটসম্যানের টাইগার বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরানো। তাতেই বাংলাদেশিদের ব্যর্থতায় ডুবিয়ে দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারীরা।

সাগরিকায় শনিবার শুরুটা মোটেও ভালো যায়নি বাংলাদেশ দলের। বিশেষ করে পুরো দুটি সেশন বোলিং করেও পাকিস্তানের কোনো উইকেট তুলতে না পারাটার আক্ষেপই ঝড়ছে। তবে টাইগারদের উইকেট কিপার ব্যাটার লিটন কুমার দাশ উইকেটশূন্য দিনের পরও বোলারদের পাশে দাড়াচ্ছেন। উইকেট তুলতে না পারার আক্ষেপ থাকলেও তার বিশ্বাস, টাইগারদের বোলিং লাইন আপের সামর্থ্য আছে।

দ্বিতীয় দিন শেষে এক ভিডিও বার্তায় বোলারদের পক্ষ নিয়ে লিটন বলেন, ‘আপনি কিভাবে বাজে বোলিং লাইন আপ বলতে পারেন? যে কয়টা বোলার খেলছে সবাইতো টেস্ট বোলার। এবাদত, রাহি এরা দুজনেই টেস্ট বোলার এবং অনেক উপকারও করেছে, সাহায্য করেছে, উইকেটও নিয়েছে। তাইজুল, মিরাজকে নিয়েতো সন্দেহই নেই। তো এখানে বাজে বোলিংয়ের তো কিছু নেই।’ 

তবে লিটন মানুক আর নাই মানুক, নিশ্চয়ই টাইগার বোলারদের বাজে দিন ছিল এটা। টেস্টে দুর্দান্ত খেলে অভিষেকেই ফিফটি করে অপরাজিত রয়েছেন আবদুল্লাহ শফিক। অন্যদিকে ৯৩ রানে ব্যাটিং করা আবিদ আলি রয়েছেন শতকের অপেক্ষায়। আগামীকাল সকালে রেকর্ড রান জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শুরু করবেন আবিদ আলি ও আবদুল্লাহ শফিক। 

১৪৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ফেলেছেন আবদুল্লাহ ও আবিদ আলি।

এমন ব্যর্থ দিনের জন্য অবশ্য নিজেদের দায়ী করছেন লিটন। তবে তিনি মনে করেন এখনই টেস্টের ফল বলার সময় আসে নাই। ‘এখন ফলের দিকে চিন্তা করা যাচ্ছে না। আমি আগেও বললাম আমি ও মুশফিক ভাই যদি আরেকটু ভালো ব্যাটিং করতাম তাহলে ৪০০-৪৫০ রান থাকত। তাহলে ভিন্ন সিনারিও থাকতো। আবার বোলিংয়ে ২-৩ উইকেট নিতে পারতাম তাহলে সিনারিও ভিন্ন হতে পারত। তবে এখনও খেলা দুই পক্ষে আছে।’

লিটন আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘যদি বোলিংয়ে ওদের ২-৩ উইকেট নিতে পারতাম, তাহলেও ভিন্ন কিছু হতে পারত। তবে এখনও খেলা দুই দলের দিকেই আছে। আমরা কাল সকালেই ওদের ২-৩ উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করব।

প্রথম দিন অবিচ্ছিন্ন থাকা লিটন-মুশফিক জুটি শুরুতেই ভেঙেছেন হাসান আলী। এরপর পাকিস্তানি এই পেসার তুলে নিয়েছেন আরও তিন উইকেট। তাতেই বড় স্কোর গড়তে টাইগার ব্যাটাররা ব্যর্থ হন। এদিন মাত্র ৭৩ রান তুলতে বাকি ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরে নিজেদের ইনিংসে রেকর্ড জুটি গড়ে ১৪৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার। আর তাতেই শুরুর ব্যর্থতার পর পুরো দুটি সেশন খেলেও প্রাপ্তির খাতাটা শূন্যই থাকে টাইগারদের। 

(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/এইচএন)