জাবিতে সাংস্কৃতিক জোটের কালো দিবস পালন

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২১, ২২:০৪

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে মৌন মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে কালো দিবস পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের পাদদেশ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে আবৃত্তি সংগঠন ধ্বনির সাধারণ সম্পাদক ইমরান শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

জোটের সভাপতি দীপংকর চক্রবর্তী বলেন, ধ্বনির কালো দিবসের এ ক্ষত আমাদের শক্তি যোগায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল, কারণ আমাদের দেশের মেরুদণ্ড তারা ভেঙে দিতে চেয়েছিল। পরবর্তী প্রজন্ম যেন দাঁড়াতে না পারে। তেমনিভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে হলে যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের মুখ বন্ধ করে দিতে চায়। সেজন্যেই তারা ধ্বনির কক্ষে আগুন দেয়। কিন্তু সে আগুন আরো প্রজ্জ্বলিত হয়ে আমাদের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে আরো প্রতিবাদী হতে সাহায্য করেছে।

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের প্রচার সম্পাদক সাদিকুর রহমান বলেন, ধ্বনি কক্ষের ঘটনার দীর্ঘ এক যুগ পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেনি। আমরা প্রশাসনের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকব। ক্যাম্পাসের সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে আজীবন লড়ে যাব।

জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের (অডিটোরিয়াম) সাধারণ সম্পাদক সৌমিক বাগচী বলেন, ধ্বনিকক্ষের সে ন্যাক্কারজনক ঘটনার দীর্ঘ এক যুগ পার হতে চলছে। কিন্তু আমরা মোমবাতি হাতে নীরব থেকেই যাচ্ছি। তার রহস্য আজও উদঘাটিত হয়নি। কিন্তু আমরা চাই প্রতিবাদের এ চর্চা জারি থাকুক। এই ইতিহাসকে পরম্পরায় পৌঁছে দেয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। প্রশাসন ২০১০ এ যা করেছে ২০২১ এ তাই করে যাচ্ছে। তারা নানা কৌশলে আমাদের মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। 

চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ২০১০ এ তৎকালীন প্রশাসন ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিল। আমাদের যে শোষণহীন সমাজ গড়ার লড়াই এখান থেকেই তার ভিত্তি গড়ে উঠবে বলে আশা রাখি।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন ধ্বনির কক্ষে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে প্রতিবছর এ দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/এলএ)