মেঘনা সিমেন্টের শতভাগ উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহারে উদ্যোগ

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১৩:৫৭ | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১৪:০০

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসিই) তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি বসুন্ধরা গ্রুপের মেঘনা সিমেন্ট শতভাগ উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহারে উদ্যোগ নিয়েছে।

মূলত মেঘনা সিমেন্টের উৎপাদন ক্ষমতা বছরের ৩৩ লাখ ১২ টন। কিন্তু চলমান করোনা সংক্রমণ ও অন্যান্য কারণে সক্ষমতার প্রায় ৬০ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে।

অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ অব্যবহ্নত উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহারে বিজয় মাস ডিসেম্বরের মেঘনা সিমেন্ট লিমিটেড বাজারে আনছে নতুন ব্যান্ড ‘বীর সিমেন্ট’। নতুন ব্র্যান্ডের সিমেন্ট বাজারজাত শুরু করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ বিশ্বে ৪০তম বৃহত্তম সিমেন্ট উৎপাদনকারী দেশ। আর দেশের মোট ১২৫টি সিমেন্ট কারখানা থাকলেও ৩৩টি সিমেন্ট কোম্পানি সক্রিয়। আর সবার সম্মিলিত উৎপাদন সক্ষমতা সাত কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে চার কোটি এক লাখ মেট্রিক টন হলো কার্যকরী ক্ষমতা।

বাংলাদেশে মাথাপিছু সিমেন্টের ব্যবহার তুলনামূলক কম। ফলে বাংলাদেশের এ খাতের প্রবৃদ্ধির অনেক সুযোগ আছে। ফলে বাড়াতে হবে উৎপাদন সক্ষমতা। এ কারণে গত কয়েক বছর ধরে কোম্পানিগুলো তাদের কারখানা সম্প্রসারণ করেছে। এতে বিদ্যমান কোম্পানিগুলোকে আগামী দশকে বিনিয়োগ আরও তিন থেকে চার গুণ বাড়াতে প্রয়োজন হবে।

অর্থাৎ ২০৩০-৩৫ সালে কোম্পানিগুলোর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা হতে হবে ২১ কোটি থেকে ২৪ কোটি মেট্রিক টন। আর এতে বিনিয়োগ করতে হবে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। এই বৃহৎ পুঁজি সংগ্রহের প্রধান মাধ্যম হবে শেয়ারবাজার। এ সুযোগটাই পুরোপুরি কাজে লাগাবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো। কারণ ব্যাংক খাতে বৃহৎ পুঁজি সরবরাহের সুযোগ নেই।

মেঘনা সিমেন্ট পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৯৫ সালে। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৭২ লাখ৮৭ হাজার ৩৬০টি। এর মধ্যে উদ্যেক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৯.৭৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৩.০৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭.১৮ শতাংশ।

২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ী, কোম্পানিটির পেই রেশিও ৪১,৭৯ পয়েন্ট।

(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/এসকেএস)