তাইজুলের ঘূর্ণিতে অনুজ্জ্বল পাকিস্তান

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১৯:০৫

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পুরো ১০ উইকেট হাতে তার ওপর দ্বিতীয় দিনে ১৪৫ রানে জুটি গড়া আবিদ-আবদুল্লাহ করবেন পাকিস্তানের হয়ে উদ্বোধন— তৃতীয় দিনের শুরুতে শঙ্কা তো টাইগারদের মাঝে ছিলই। কিন্ত দিনের প্রথম ওভারেই রঙিন আশার আভাস দেন তাইজুল। পরে দুর্দান্ত সব ফ্লাইট আর ঘূর্ণিতে তুলে নেন একে একে সাত পাকিস্তানি ব্যাটাসম্যানকে। তাতেই দুর্দান্ত কামব্যাক করা বাংলাদেশ লিড পায় ৪৪ রানের।

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর নায়ক তাইজুল ইসলাম এদিন ১১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ৭ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। টাইগারদের হয়ে একাধিকবার ইনিংসে ৭ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার প্রথম কীর্তিও গড়লেন তিনিই। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে নিয়েছিলেন ৩৯ রানে ৮ উইকেট। টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড যেটি।

দ্বিতীয় দিনে বিনা উইকেটে ১৪৫ রানে দিন শেষ করা পাকিস্তানের প্রথম ওভারেই জোড়া ধাক্কা দেন তাইজুল। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে আব্দুল্লাহ শফিক ও আজহার আলি- দুজনকেই এলবির ফাঁদে ফেলেন এই বাংলাদেশি বাঁ-হাতি অর্থোডক্স স্পিনার। আম্পাযারের সিদ্ধান্তের পর অবশ্য আজহার রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু আউট হওয়া আটকাতে পারেননি পাকিস্তানের অন্যতম এই ব্যাটসম্যান।

তাইজুলের তৃতীয় শিকার ফাওয়াদ আলম। এবার অবশ্য রিভিউ নিয়ে ফাওয়াদকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান তাইজুল। লাঞ্চের পর আরও ভয়ঙ্কর হন তাইজুল। বারবার ‘সুযোগ’ পেয়েও ১৩৩ রান করা আবিদ আলিকে এবার এলবিডব্লুর ফাঁদে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে বড়সড় ধাক্কা দেন তাইজুল। টানা দুই বলে চার ও ছক্কা মারা হাসান আলিকে অসাধারণ এক ফ্লাইট বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।

হাসানকে আউট করে টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম ফাইফার তুলে নেন তাইজুল, একইসঙ্গে ভাগ বসান পাকিস্তানের বিপক্ষে রফিকের সর্বোচ্চ উইকেটেও (১৭)। এরপর নোমান আলিকে এলবিডব্লু করে রফিককে ছাড়িয়ে রেকর্ডটি নিজের করে নেন তিনি।

আর ফাহিম আশরাফকে লিটনের ক্যাচে পরিণত করে ২৮৬ রানে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেন তাইজুল-ই। বাঁহাতি স্পিনারের এই বিষেই দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। ১১৬ রানে ৭ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটা বাংলাদেশের সেরা বোলিং। আগের সেরা ছিল ২০১১ সালে ঢাকা টেস্টে সাকিব আল হাসানের ৮২ রানে ৬ উইকেট।

(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/এইচএন)