আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সম্মাননা পেলেন ৫০ নবীন উদ্যোক্তা

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১৯:০৭

যারা নিজের উদ্ভাবনী শক্তি ও শ্রম দিয়ে সমাজের কল্যাণে ভূমিকা রাখেন, নিজের উদ্ভাবনী শক্তির কল্যাণকর ব্যবহারের মাধ্যমে দায়িত্ব-সচেতনতার পরিচয় দেন এরূপ ৫০ জন নবীন উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দিয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। নিজের উদ্যোগ বা ব্যবসায় ইসলামের নীতি এবং কালচার অনুসরণের চেষ্টা করেন এমন তিন হাজার উদ্যোক্তা থেকে ধাপে ধাপে বাছাই করে ৫০ জনকে নির্বাচিত করা হয়।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচা মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সাব্বির আহমদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মাননা অনুষ্ঠান শুরু হয়। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও ফাহিম বিন ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতে মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি ও শরয়ি দিক-নির্দেশনামূলক কর্মশালা পরিচালনা করেন যথাক্রমে সরোবরের চিফ মার্কেটিং অফিসার শরীফ আবু হায়াত অপু ও আইএফএ কনসাল্টেন্সির কো-ফাউন্ডার মুফতী ইউসুফ সুলতান।

সকাল নয়টায় সম্মাননা অনুষ্ঠান শুরু হয়ে সম্পন্ন হয় বিকাল তিনটায়। সম্মাননা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদরাসা দারুর রাশাদের মুহাদ্দিস মাওলানা লিয়াকত আলী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহ আলম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কমিশনার জাকির হোসন, রাহবার মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান মুফতী সাইফুল ইসলাম, শায়খ আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের সহ-সম্পাদক আলী হাসান তৈয়ব, ইঞ্জিনিয়ার এস এম নাহিদ হাসান, লেখক সাইমুম সাদী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তানবীর আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান রাসেল প্রমুখ।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে সেরা দশজন উদ্যোক্তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে প্রাইজমানি, সম্মাননা স্মারক সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট, ব্যবসা সংক্রান্ত বই ইত্যাদি প্রদান করা হয়। অন্যান্য উদ্যোক্তাদের প্রদান করা হয় সম্মাননা স্মারক সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট, ব্যবসাসংক্রান্ত বই ইত্যাদি।

নির্বাচিত ৫০ উদ্যোক্তা

ইসরাত জাহান, বাংলা ভাষায় মাতৃত্ব, গর্ভধারণ ও শিশুপালন সংক্রান্ত তথ্যবহুল সাইট ও কমিউনিটি তৈরি করার জন্য।

এমরানুল হক শুভ, প্র্যাক্টিসিং মুসলিমদের বিয়ের জন্য ম্যাচ মেকিং সাইট তৈরির জন্য।

খন্দকার মারসুস, ইসলামিক জ্ঞান অর্জনের উন্মুক্ত ই-লার্নিং প্লাটফর্ম তৈরির জন্য।

জান্নাত আরা রহমান, ঘরে তৈরি শিশু খাদ্য নিয়ে কাজ করার জন্য।

জাহিদুর রহমান, বিশুদ্ধ খাবার উৎপাদন ও বিপণন করার জন্য।

তৌহিদুল ইসলাম, প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগে কৃষি খামার গড়ে তোলার জন্য।

নাঈমা কামাল, বোরকা-হিজাবসহ অন্যান্য পর্দাসংক্রান্ত পণ্য তৈরি করার জন্য।

ফাইয়াজ আল-মুহাইমিন, ইসলামিক লাইফ স্টাইল সম্পর্কিত পণ্য তৈরি ও অনলাইন-অফলাইনে বিপণন করার জন্য।

রেজাউল করীম মাসুম, গ্রামের নারীদের হাতে সেলাই করা পণ্য বিদেশে রপ্তানি করার জন্য।

সাজ্জাদুর রহমান, অনলাইনে বই ধার দেওয়া-নেওয়ার প্লাটফর্ম তৈরির জন্য।

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিজ্ঞান শব্দকোষ ওয়েব প্লাটফর্ম তৈরির জন্য।

আবদুল্লাহ আল মাসউদ, মানুষের দোরগোড়ায় আরবি ভাষা ও ইসলামের জ্ঞান পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে অনলাইন একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য।

আবিদা সুলতানা, নারীদের ক্যালিগ্রাফি ও ইসলামিক আর্ট শেখানোর জন্য।

আবু মুহাম্মদ মুশফিক ইলাহী, ইংরেজি অনুবাদের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য।

আমিনুল ইসলাম আপন, বিভিন্ন ধরনের ছাপার কুরআন নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি হালাল বিজনেস ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদানের জন্য।

আয়েশা শারমিন, পর্দার পোশাক তৈরির জন্য।

ইব্রাহীম ইবনে মোল্লা মোশাররফ, আধুনিক সব ফসল, বীজ ও কৃষি প্রযুক্তির সাথে কৃষকদের পরিচয় করিয়ে দেয়া ও সেগুলো বিক্রি করার পাশাপাশি সুদ থেকে বাঁচতে কৃষকদের পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের জন্য।

ইলা আফরোজা, শিশুদের হোমমেইড খাবার তৈরির জন্য।

কে. এম. শরীয়াত উল্লাহ, সাইন্স ম্যাগাজিনের জন্য।

গোলাম মোস্তফা, গবাদি পশু ও প্রাণীদেহের জন্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত ঔষধ তৈরি করার জন্য।

জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবী ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য।

ডা. জামাল উদ্দিন, থ্যালাস্যামিয়া, রক্তরোগ ও রক্তক্যান্সার চিকিৎসা ও সাপোর্ট প্রদান করার জন্য।

তানজীম আল ফাহিম, সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কিত কাজের জন্য।

তাসফিয়া ইসলাম, হিজাব ও খিমার নিয়ে কাজ করার জন্য।

তোশিবা কামরুজ্জামান, ডাটা সাইন্স স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্লাটফর্ম তৈরির জন্য।

নাবিলা বিনতে হোসাইন, তরুণ প্রজন্মকে কুরআনের দিকে আকৃষ্ট করতে কুরআনিক প্রোডাক্টস নিয়ে কাজ করার জন্য।

নাসরীন সুলতানা, শিশুদের সুন্নতি পোশাক তৈরির জন্য।

নাসিফ হাসনাইন, কৃষকদের মধ্যে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা এবং কর্মসংস্থান ও কৃষির উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার জন্য।

নাহিদা ফারজানা কলি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে দীনি চেতনার প্রসার ও আত্মিক উন্নয়নে কাজ করার জন্য।

ফয়জুল্লাহ, অনলাইনভিত্তিক বিয়ের জন্য দীনি পাত্র-পাত্রী খুঁজে দেওয়া ও বিবাহ সম্পাদনে সহায়তা করার জন্য।

ফারজানা ইয়াসমিন, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পর্দা মেনে হালাল ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করানোর জন্য।

মাশহুদুর রহমান, দাওয়াহর উদ্দেশ্যে বিনামূল্যে ইসলামিক বই বিতরণের নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য।

মাহফুজুল ইসলাম, রেডি টু কুক মাছ হোম ডেলিভারি করার জন্য।

মুনতাসির হক মুন, আরবি ক্যালিগ্রাফি নিয়ে কাজ করার জন্য।

মো. আল মামুন, পুকুরে মাছের সাথে মুক্তার চাষ করার জন্য।

মো. গাউসুল আজম টুটুল, কৃষির আধুনিকীকরণ নিয়ে কাজ করা কৃষি সংক্রান্ত তথ্যচিত্র নির্মাণ করার জন্য।

মোহাম্মাদ ফিরোজ আলম, সিরামিক্স পণ্যের ই কমার্স প্লাটফর্ম তৈরির জন্য।

মোহাম্মাদ মাসুদ পারভেজ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করার জন্য।

মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেন, প্রান্তিক পর্যায়ের চাষি ও উৎপাদক থেকে বিশুদ্ধ পণ্য ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।

সোহেল রানা, বিনামূল্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কুরআন পৌঁছে দেওয়ার জন্য।

মোহাম্মাদ সোহেল রানা, বীজ ব্যাংক, বীজের সংরক্ষণ, অর্গানিক কৃষি নিয়ে কাজ করার জন্য।

রফিকুল ইসলাম, প্যারেন্টিং নিয়ে কাজ করার জন্য।

রিপা বিনতে রফিকুল ইসলাম, সেলাই প্রশিক্ষণ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও বই রচনার জন্য।

রুস্তম আলি, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইকমার্স ইমেজ এডিট সার্ভিস কোম্পানির জন্য।

শাহনাজ আক্তার, মহিলাদের পরিপূর্ণ পর্দার পোশাক তৈরি করার জন্য।

শেখ ফরিদ, ইসলামিক ও হালাল পণ্যসামগ্রী নিয়ে কাজ করার জন্য।

ফাতেমাতুজ জোহরা, নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য।

ওয়াসিউল হক ভূঁইয়া, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য তৈরির জন্য।

(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :