তত্ত্বাবধায়কের ওপর হামলা, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে কর্মবিরতি

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১৯:১৬

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ের দরপত্র (টেন্ডার) ক্রয়কে কেন্দ্র করে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়কের ওপর হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ হামলার ঘটনার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিন ও তার লোকজনকে দায়ী করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে অন্য ঠিকাদারের লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন যুগ্ম আহবায়ক।এ ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল করেন হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। টেন্ডার বাণিজ্য বন্ধসহ বিভিন্ন স্লোগানে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এসে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ​এর আগে দুপুর ১টার দিকে তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিনের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) সৈয়দ মহি উদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, হাসপাতালের ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডার নোটিশ ক্রয় করতে আসেন জেলা আ.লীগের যুগ্ম আহবায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিন। এসময় তার সাথে অর্ধশত সমর্থক ছিল। তার লোকজন পুরো হাসপাতালে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন। তিনি নোটিশ চাইলে প্রক্রিয়া শেষ করে নোটিশ দিতে কিছুটা দেরি হলে তার লোকজন তত্ত্বাবধায়ককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অফিসের অন্য কর্মচারীকেও মারধর করে। এসময় নিজের নেতাকর্মীদের শান্ত করার জন্য বললেও তিনি তা না করায় কর্মীরা আরও উগ্র হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা হাসপাতালের গেইটসহ বিভিন্ন সামগ্রি ভাঙচুর করে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরাবর আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, গত অক্টোবরের ১০তারিখে একটি টেন্ডার ছিল, কিন্তু কোন প্রকার নোটিশ ছাড়া ওই টেন্ডারটি স্থগিত করে পুনঃরায় টেন্ডার করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার লোকজন নিয়ে দরপত্র ক্রয় করতে গেলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দরপত্র দিতে গড়িমসি করে। তত্ত্বাবধায়ক দিতে চাইলেও তার কর্মচারীরা তাকে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে আমরা আমাদের সিডিউল নিয়ে চলে আসি। যতটুকু শুনেছি, আমরা আসার পর অন্য ঠিকাদারের লোকজনের সাথে তত্ত্বাবধায়কের সাথে ঝামেলা হয়েছে। আমি বা আমার কোন লোক হামলার সাথে জড়িত নেই।

(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :