গরম তেল ঢেলে স্বামীকে ঝলসে দিলেন স্ত্রী

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০২১, ২১:০৭

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঢাকার সাভারে পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহকর্তাকে গরম তেলে ঝলসে দিলেন তার স্ত্রী। দগ্ধ স্বামীকে ১০ দিন লোকচক্ষুর আড়ালে ঘরেই বন্দি রাখার অভিযোগ ওঠেছে গৃহবধূর বিরুদ্ধে।

রবিবার দুপুরে সাভারের তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের নতুনপাড়া মহল্লার মুক্তার আলীর মালিকাধীন বাড়ি থেকে গৃহকর্তা আমিনুল ইসলামকে (৩০) উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

আহত আমিনুল ফরিদপুরের বালিয়াডাঙ্গী থানার রতনাই বাঘা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তিনি সাভারের ভরারী ডাড পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত স্ত্রী ফরিদা (২৯) একই জেলার পাংশা থানার হরিনাডাঙ্গী গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে। তিনি হেমায়েতপুরের এজিআই পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন।

আহত যুবকের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে হেমায়েতপুর নতুনপাড়া এলাকায় মোক্তার হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমিনুর ইসলাম ও তার স্ত্রী ফরিদার মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। তারই সূত্র ধরে গত ১৯ নভেম্বর রাতে নিজ ঘরে আমিনুল ঘুমিয়ে থাকলে তার স্ত্রী গ্যাসের চুলায় কড়াইয়ের মধ্যে তেল গরম করে। পরে ঘুমন্ত স্বামীর মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঢেলে দেন। এ সময় মুহূর্তের মধ্যে তার স্বামীর মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। 

পরে তার চিৎকারে বাড়িওয়ালা ঘরে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হেমায়েতপুর জামাল ক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার পরেও ওই ব্যক্তিকে তার স্ত্রী বাসায় নিয়ে আসে এবং বিষয়টি গোপন করে। প্রায় ১০ দিন ঘরেই বিনা চিকিৎসায় পড়েছিল আমিনুল। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে আমিনুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠায় পুলিশ।

এ বিষয়ে বাড়িওয়ালার স্ত্রী ইয়াছমিনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং একপর্যায়ে বিষয়টি জানতেন বলে স্বীকার করেন।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে আমিনুলের স্ত্রী ফরিদা পুলিশ হেফাজতে আছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/কেএম)