‘ওমিক্রন’ সংক্রমিত দেশ থেকে এলে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন
প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৪৮ | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৪৯
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ ছড়িয়ে পড়া দেশ থেকে যাত্রী আসার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি আক্রান্ত এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রী আসা বন্ধ করার সুপারিশ করলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে যাত্রীরা আসতে পারবেন, তবে মানতে হবে কিছু নির্দেশনা। দুই সপ্তাহ তাদের থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে।
রবিবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাউথ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সময় সময় ঘোষিত অন্যান্য আক্রান্ত দেশ হতে আগত যাত্রীদের বন্দরসমূহে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে। একইসঙ্গে আক্রান্ত দেশসমূহ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, করোনা উপসর্গ/লক্ষণযুক্ত সন্দেহজনক ও নিশ্চিত করোনা রোগীর আইসোলেশন ও করোনা পজিটিভ রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সাউথ আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (B.1.1.529) এর সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সকল দেশসমূহকে উক্ত ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ সাউথ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি এবং লেসোথো এর সাথে আকাশ পথে যোগাযোগ বন্ধ করেছে। করোনা ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকেও অধিক সংক্রামক বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। তাই এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে রবিবার দুপুরে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় আক্রান্ত দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে যাত্রী আসা বন্ধ করার সুপারিশ করে কোভিড ১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। একইসঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে (অন্তত ১৪ দিন) কোনো ব্যক্তির ওই সব দেশে ভ্রমণের ইতিহাস থাকলে, দেশে তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে বলা হয়। নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হলে আইসোলেশনে রাখার সুপারিশ করা হয়। প্রতিটি স্থলবন্দরে করোনা শনাক্তকরণ মেশিন ও স্কুল-কলেজসহ সব জায়গায় সামাজিক সুরক্ষাসংক্রান্ত ব্যবস্থা আরও কঠোর করার পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সুপারিশ করে কারিগরি কমিটি।
(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/বিইউ/জেবি)