৪৯ গায়েবি মামলা: রাজারবাগের পীরকেও বিবাদী করার আবেদন

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১১:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ব্যবসায়ী একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ৪৯টি গায়েবি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের বিবাদীদের তালিকায় রাজারবাগ দরবারের পীর দিল্লুর রহমানসহ চারজনকে যুক্ত করতে একটি আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দায়ের করেন কাঞ্চনের আইনজীবী এমাদুল হক বশির।

আইনজীবী ঢাকা টাইমসকে বলেন, আবেদনটি সকালে এফিডেভিট করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম সাহেবের কোর্টে জমা দিয়েছি। আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। আবেদনে বিবাদীদের তালিকায় পীর দিল্লুর রহমান ছাড়াও শাকিরুল কবির, ফারুকুর রহমান ও মফিজুল ইসলামকে যুক্ত করার অনুরোধ করা হয়েছে।

চারজনকে বিবাদীদের তালিকায় যুক্ত করার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এমাদুল হক বশির বলেন, তারা সবাই পীরকে মামলায় সহযোগিতা করেছেন। গত ৩১ আগস্ট দেওয়া সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি ভুয়া মামলার নেপথ্যে রাজারবাগের কথিত পীর দিল্লুর রহমানের নাম উঠে আসে তদন্তে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) হাইকোর্টে ওই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদন জমা দেন সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রতন কৃঞ্চ নাথ। প্রতিবেদন দাখিলের পর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির নেপথ্যে পীরের কারসাজির তথ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এমাদুল হক বশির।

এ বিষয়ে শুনানি করে গত ১৪ জুন থানায় বা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করলে অভিযোগ দায়েরকারীর এনআইডি দেওয়া বাধ্যতামূলক বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করে ৬০ দিনের মধ্যে ৪৯ মামলার ঘটনা তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।

এর আগে রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ‘অস্তিত্বহীন’ বাদীর করা ৪৯ মামলার প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

এমাদুল হক বশির বলেন, ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় তিনি এক হাজার ৪৬৫ দিন জেল খেটেছেন। কিন্তু একটি মামলারও বাদীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই বিবেচনায় তিনি অনেক মামলায় খালাস পেয়েছেন। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (সিআিইড), র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/এআইএম/জেবি)