নিজের ভোটটিও পাননি ইউপি সদস্য প্রার্থী নজরুল

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০২১, ২১:৪২

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

তৃতীয় দফায় ইউপি নির্বাচনে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউপিতে কোনো ভোট পাননি রামখানা ইউপির টিউবওয়েল প্রতীকের সদস্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম। নিজে প্রার্থী হয়ে ভোট না পাওয়ার বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।

রবিবার রামখানাসহ নাগেশ্বরী উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই ইউনিয়নে ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য পদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নাখারগঞ্জ পশ্চিম রামখানা দেওয়ানটারি গ্রামের ইজ্জত উল্ল্যার ছেলে নজরুল ইসলাম।

প্রতীক পাওয়ার পর পোস্টার ছেপে বিজয়ী হতে অন্যান্য প্রার্থীর মতো কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটের প্রচার-প্রচারণাও করেন তিনি। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানে তার পুলিং এজেন্টও ছিল। অথচ দিন শেষে গণনা করে দেখা গেছে, তিনি একটি ভোটও পাননি। তাহলে তিনি, তার স্ত্রী, পরিবারের অন্যান্য সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, তার শুভাকাঙ্ক্ষী, কর্মী-সমর্থক ও এজেন্ট কেউই কি তাকে ভোট দেননি?- এ প্রশ্ন সবার।

এ ঘটনায় হতভম্ব এলাকার মানুষ। আদৌ তা সম্ভব কি না। নজরুল টিউবওয়েল প্রতীকে কোনো ভোট না পেলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরজামাল শেখ ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৭১৬, ফজলে রহমান বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪, সফিকুল ইসলাম তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৭৭ ভোট। ভোটের এ ফলাফলে কোনোভাবে হিসাব মেলাতে পারছেন না প্রার্থী নজরুল।

এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত। যদি কর্মী-সমর্থকরাও আমাকে ধোকা দিয়ে থাকেন তাহলে আমি, আমার স্ত্রী মেহরা খাতুন, বড় ছেলে মফিজুল ইসলাম, তার স্ত্রী কল্পনা খাতুন, মেজ ছেলে এনামুল হক, তার স্ত্রী ফরিদা বেগমসহ রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়-স্বজনরা অনেকেই আমাকে ভোট দেন। প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ ভোট আমি নিশ্চিত পাওয়ার কথা। সেখানে শূন্য ভোট হয় কীভাবে। আমি এটা মেনে নিতে পারছি না। তাই আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভোট পুনঃগণনার আবেদন জানিয়েছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, নজরুলের আবেদন পেয়েছি এটি আইনিভাবে মোকাবিলা করার জন্য তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/কেএম)