গোপালগঞ্জ প্রধান ডাকঘরে জনবল সংকট, ভোগান্তিতে গ্রাহক

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১২:২০ | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১২:৪৬

শেখ মোস্তফা জামান, গোপালগঞ্জ

একুশ শতকে এসে আর তাল মেলাতে পারছে না গোপালগঞ্জ প্রধান ডাকঘর। প্রযুক্তির প্রতিযোগিতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে এই ডাকঘর। অথচ এককালে গোপালগঞ্জ ডাকঘর ছিল প্রাণকেন্দ্র। ছিল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। চিঠি, পণ্য পার্সেল, টাকা পরিবহনে একমাত্র ভরসাস্থল ছিল এই জিপিও কার্যালয়। ছিল টেলিগ্রাম করার ব্যবস্থাও। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে জনগুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটি। জনবল সংকটে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে অন্যসব সেবা কার্যক্রমও।

পোস্ট অফিসে পদ রয়েছে মোট ৩৮টি। এর  ১৮ টি পদে লোক আছে। অবসর ও নতুন নিয়োগ না হওয়ায় প্রায় ৫ থেকে ১০ বছর ধরে ২০টি শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে পোস্টমাস্টার, সহকারী পোস্টমাস্টার, এপিএম, একাউন্ট অপারেটর, জুনিয়র হিসাব রক্ষক, অফিস সহায়ক, গার্ড, সুইপার। প্রায় ১০ বছরে নতুন কোনো নিয়োগ হয়নি ডাকবিভাগে। তাই পুরনোদের অবসর এবং বদলিতে শূন্যপদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর ওপর পরিবহন সংকটেও ভুগছে প্রতিষ্ঠানটি। মেয়াদোত্তীর্ণ ভাঙাচোরা পরিবহনে কোনো রকমে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে গোপালগঞ্জ জিপিওর মেইল ও ক্যাশ শাখার বর্তমান কার্যক্রম।

সঞ্চয়পত্রে সাধারণত বিনিয়োগ করেন সিনিয়র সিটিজেন বা বয়োজ্যেষ্ঠরা। বিনিয়োগের মুনাফা তুলতে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের মুনাফা তুলতে হচ্ছে। এতে অনেক সময় বয়স্ক বিনিয়োগকারীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অধিকাংশ সঞ্চয়পত্র বিক্রয় পয়েন্টে বিনিয়োগকারীদের বসার মতো কোনো ব্যবস্থাও নেই। ফলে তাদের ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। করোনাকে উপেক্ষা করে উপচেপড়া ভিড়। জনবল সংকট ও  প্রতিদিন সার্ভারে সমস্যা  কারণে গাদাগাদি করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে গ্রাহক।

বিনিয়োগকারীদের এ ভোগান্তির কথা স্বীকার করেছে ডাকঘরের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি জানান, মূলত জনবল সংকটের কারণে বিনিয়োগকারীদের কাঙ্খিত সেবা দেয়া যাচ্ছে না। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি সেবা দেওয়ার।

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/এলএ/এসএ)