হাতে যে রেখা থাকলে ধনী হবেন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০২ | প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:১৯

জ্যোতিষশাস্ত্রের হস্তরেখাবিচারকে পামিস্ট্রি বলে। কথিত রয়েছে, যে ব্যক্তি যেমন পরিশ্রম করে থাকেন, তার কাজ করার ধরন অনুযায়ী হাতের তালুর ভাঁজ তেমন হয়। আর সেই তালুর ভাঁজ থেকে তৈরি হওয়া রেখা অনুযায়ী বহু জ্যোতিষবিদ অনেকের ভবিষ্যৎ দর্শন করে থাকেন। মানুষের ভাগ্যের সব কিছুই তার হাতে 'লেখা' থাকে।

হস্তরেখা বিচার এমনই একটি দিক, যার প্রতি আকর্ষণ বহুজনের রয়েছে। তবে পরিশ্রম ও সাধনা ব্যতীত যে কোনও জিনিসই সহজে আসে না, তা নতুন কথা নয়! একনজরে দেখা যাক, হস্তরেখা বিচার করে, একজন জ্যোতিষমতে কীভাবে জানা যায় যে, সেই ব্যক্তি ধনী হতে পারবেন কি না।

হাতের আয়ুরেখা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আয়ুসীমা নির্দেশ করে, ভাগ্যরেখা নির্দেশ করে তার ভাগ্য আর বুদ্ধিরেখা নির্দেশ করে তাঁর মননশক্তির। এসব প্রথাসম্মত চিরচেনা রেখা ছাড়াও হাতে কিছু বিশেষ রেখাও থাকে।

সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন জীবনে টাকা-পয়সার কথাটাই একটু বেশি ভাবেন। কেউ কেউ ভাবেন, তিনি কীভাবে ধনী হয়ে উঠবেন? বলা হয়, সেটাও উল্লেখ থাকে হাতের রেখাতেই। হাতের বিশেষ রেখাসংস্থান নির্দেশ করে জাতক কতটা ধনসম্পত্তির অধিকারী হবেন।

যে রেখাটি টাকা-পয়সার দিকটা নির্দেশ করে সেটাকে 'অর্থরেখা' বলা হয়। আপনার হাতের এই রেখাটি যদি একেবারে সোজা ও সরলরৈখিক হয়, তবে এটা জানায় যে, আগামী দিনে নিশ্চিত ভাবে আপনি ধনবান হয়ে উঠবেন। আর যদি অর্থরেখাটি ততটা সোজা না হয়, একটু বক্র থাকে, তবে, টাকা এলেও তা থাকবে না, খরচ হয়ে যাবে। নিয়মিত সঞ্চয় না ঘটলে ধনবান হওয়ার সুযোগও জাতকের থাকবে না!

হাতের সব রেখাই পরস্পরের সঙ্গে ওতপ্রোত। তাই অর্থরেখাও ভাগ্যরেখা, জীবনরেখা ও বুদ্ধিরেখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। অন্য রেখাগুলি যদি অর্থরেখার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ থাকে তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ধনবান হন। এবং তা স্থায়ীও হয়।

রেখা দেখে যেভাবে আপনি ধনী হবেন

আপনার হাতের শুক্র অঞ্চল যদি যথাযথ থাকে এবং সেখানে যদি তিল-জাতীয় কিছু থাকে, তবে তা প্রচুর ধনসম্পত্তির সূচক। শনির শিখরগামী ভাগ্যরেখা যদি নীচের দিকে (কবজির দিকে) কাটা হয়, তবে তা মঙ্গলসূচক ধরা হয়। এই রেখা-সংস্থানও টাকা আনার সূচক। ভাগ্যরেখা যদি রবিক্ষেত্রের কাছে গিয়ে থেমে যায় তবে তা ভাগ্যলক্ষ্মীর যোগ তৈরি করে। তার জীবনে সুখ নেমে আসে।

অনামিকার নিচের অংশ এবং শুক্র অঞ্চলের শীর্ষরেখা যদি স্পষ্ট হয় তবে সেটিও মঙ্গলসূচক মনে করা হয়। এই রকম রেখা-সংস্থান যার হাতে তার কখনও টাকার অভাব হয় না। এরা জীবনে প্রচুর উপার্জনও করেন। আর যদি কনিষ্ঠাঙ্গুলি থেকে ভাগ্যরেখা শুরু হয় এবং তা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে শনিক্ষেত্রের উপর পর্যন্ত প্রসারিত থাকে তবে সেটিও ধনের সূচক। এই রেখাসংস্থান যার তার অর্থভাগ্য ভালো হয়।

(ঢাকাটাইমস/১ডিসেম্বর/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :