সুপ্রিম কোর্টে ২০ মাস পর শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ
প্রায় ২০ মাস পর শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে উচ্চ আদালতের বিচারকাজ ভার্চুয়ালি পরিচালিত হয়ে আসছে।
বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু করেন পাঁচজন বিচারপতি। সকাল সাড়ে দশটার পর বিচার কাজ শুরু করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা।
প্রধান বিচারপতি জানান, ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালত চলাকালে অনেক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সময়ে আপিল বিভাগে থাকা ২৪ হাজার মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে এখন সাড়ে ১৫ হাজারের মতো মামলা রয়েছে।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বিচার বিভাগকে সচল রাখার লক্ষ্যে ওই বছরের ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর দুই দিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে সশরীরে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এর পর গত বছরের ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের দরজা খুলে দেন সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জারি কর প্র্যাকটিশ ডাইরেকশন।
শারীরিক উপস্থিতিতে আদালত পরিচালনায় গত ২৯ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকাজ পরিচালিত হবে। প্রধান বিচারপতি এ নির্দেশনা জারি করেন। প্রজ্ঞাপনের কপি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসসহ সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠানো হয়।
(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/এআইএম/জেবি)