ওমিক্রন হতে পারে আশীর্বাদের কারণ!
‘ওমিক্রন’ আতঙ্কে ভুগছে গোটা বিশ্ব। দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের এই ধরনটি সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছে। সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী ইতিমধ্যে সতর্কবার্তায় জানিয়েছেন, আবার করোনাবিধি মেনে চলার প্রতি জোর দিতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে যাওয়া এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতেই হবে। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজন ভাইরাস বিশেষজ্ঞের দাবি, ওমিক্রন আতঙ্কের নয় বরং জনজীবনের ওপর আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ মার্ক ভ্যান জানাচ্ছেন, ওমিক্রন কতটা বিপদজ্জনক এবং টিকার দুটি ডোজের পরেও কতটা সংক্রমণ ছড়াতে পারে তা এখনো জানা যায়নি। কিন্তু যদি এটা প্রমাণিত হয় ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ততটা ভয়াবহ নয়, তবে তা জনসাধারণের জন্য অত্যন্ত সুখবর হবে।
মার্ক ভ্যানের কথায়, 'যদি ওমিক্রন কম বিপজ্জনক হয় অথচ বেশি ছোঁয়াচে হয়ে ওঠে, তাহলে ওমিক্রন ডেল্টা স্ট্রেনকে সরিয়ে প্রধান সংক্রামক স্ট্রেন হয়ে উঠবে। যা অত্যন্ত পজিটিভ দিক।'
এখনো পর্যন্ত করোনার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজাতি হিসেবে 'ডেল্টা'-কেই চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০২০ সালের শেষে ভারতে প্রথম খোঁজ মেলে ডেল্টা প্রজাতির। আস্তে আস্তে তা গোটা বিশ্বের ১৬৩টি দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। শুরুতেই যে পরিমাণ সংক্রমণ ডেল্টা ছড়িয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, ওমিক্রনের সেই মার্জিন ছোঁয়া বেশ কঠিন। যদিও ইতিমধ্যেই ওমিক্রন প্রতিরোধে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/জেবি)