মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড, চারজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৫৩

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় শহিদ (২৭) নামে এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে শাহিন আলম (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালতের বিচারক। বুধবার বিকাল ৪টার দিকে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ উৎপল ভট্টাচার্য্য এই রায় দেন। এসময় একই মামলায় আরও চারজনকে যাবজ্জীবন ও দুজনকে খালাস দেন আদালতের বিচারক।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শাহিন আলম ঢাকার ধামরাই উপজেলার গোয়ারীপাড়া এলাকার মৃত আহসান উদ্দিনের ছেলে। আর ভিকটিম শহিদ (২৭) টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকার খোদাবক্স আকন্দের ছেলে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শহিদুল ইসলাম স্বাধীনের ছেলে সাহেদ (২৫),  হযরত আলীর ছেলে রাজা মিয়া (২৫), সামছুল হক বেপারীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস এবং মিহির লালের ছেলে বিষ্ণু সুইপার। উপরোক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর ও নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

একই মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাসপাড়া এলাকার মৃত ফকিরচানের চেলে রহম আলী ড্রাইভার এবং একই উপজেলার থানাপাড়া এলাকার সেলিম ওরফে তেল সেলিম।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম শহিদ ও আসামি শাহীন আলম মিলে ‘প্রিয় বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন। ওই এনজিওর চেয়ারম্যান ছিলেন শহিদ। কিছুদন পরে ওই এনজিও তে ১০ লাখ টাকা অনুদান আসে। এই টাকাকে কেন্দ্র করে ২০০৬ সালের ২০ মে রাতে সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের বেতুলিয়া এলাকায় প্রিয় বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান শহিদকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা।

এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানা পুলিশ একটি মামলা করে। পরে ২০০৯ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। মামলা করার পর গ্রেপ্তার আসামিরা তাদের নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামিপক্ষে একজনের সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট অরবিন্দ পোদ্দার এবং দেওয়ান মো. মিজানুর রহমান আর প্রসিকিউশন পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পি.পি অ্যাডভোকেট মথুর নাথ সরকার। 

রায় দেয়ার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহিন আলম ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আরও দুই আসামি ও খালাস হওয়া এক ব্যক্তি পলাতক ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১ডিসেম্বর/কেএম)